ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ফখরুলের জামিন আবেদনের শুনানিতে আদালতের অপারগতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
ফখরুলের জামিন আবেদনের শুনানিতে আদালতের অপারগতা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ঢাকা: এজাহারে নাম থাকলেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি এমন বেশ কিছু মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির তিন নেতার জামিন আবেদন শুনানিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন আদালত।  

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দুজন বিচারকের বরাবর এই আবেদনগুলো উপস্থাপন করা হয়।

তবে তদন্ত কর্মকর্তা গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করার আগে এসব মামলায় জামিন শুনানিতে অপারগতা প্রকাশ করেন দুই বিচারকই।

আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ বাংলানিউজকে বলেন, মির্জা ফখরুলের পক্ষে পল্টন থানার সাতটি ও রমনা থানার চারটিসহ মোট ১১টি মামলায় প্রডাকশন ওয়ারেন্টসহ (হাজিরা পরোয়ানা) জামিন আবেদন করি। একইভাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর পক্ষে নয়টি ও দলটির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের পক্ষে সাতটি মামলায় জামিন আবেদন করি। এসব আবেদন বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী ও শফি উদ্দিনের আদালতে শুনানির জন্য আসে। তবে তদন্ত কর্মকর্তা গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করার আগে এসব মামলায় জামিন শুনানিতে অপারগতা প্রকাশ করে আবেদনগুলো নথিভুক্ত রাখেন আদালত।

আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ আরও বলেন, আমরা আদালতকে বলেছি তারা বাইরে থাকলে উচ্চ আদালত বা নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করার সুযোগ ছিল। এখন কারাগারে থাকায় তাদের সেই সুযোগ থেকে কেন বঞ্চিত করা হবে? আমরা আশঙ্কা করছি, একটি মামলায় জামিন হলে অপর মামলাগুলোতে ধাপে ধাপে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাবাসকে প্রলম্বিত করতে পুলিশ এই কৌশল নিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিকারের জন্য আমরা উচ্চ আদালতে যাব।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ওইদিনই প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলার ঘটনায় রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় রাত ৮টার দিকে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তার জামিন আবেদন উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।

অপরদিকে গত ২ নভেম্বর রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। আর গুলশানের আরেকটি বাসা থেকে একইদিন সন্ধ্যায় বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। সেই রিমান্ড শেষে গত ৯ নভেম্বর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলম। গত ৬ ডিসেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের তাদের জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
কেআই/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।