ঢাকা: দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে বাতিল হওয়া প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে বিফল হয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন বরিশাল-৪ আসনের শাম্মী আহমেদ কিন্তু মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সে আবেদনে সাড়া দেননি আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের আদালত।
ফলে আর নির্বাচনের সুযোগ থাকছেনা শাম্মী আহমেদের।
শাম্মী আহমেদ ও একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথ পরস্পরের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেছিলেন ইসিতে। শাম্মী আহমেদ অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হলেও তা গোপন করেছেন বলে অভিযোগ ছিল পঙ্কজের।
নির্বাচন কমিশন বর্ণিত আপিলকারীর দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্পর্কে তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকার অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের সহায়তায় সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা দেয়।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের সহায়তায় শাম্মী আহমেদের অস্ট্রেলিয়ার দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে জরুরি ভিত্তিতে ১৪ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠানোর পর ১৫ ডিসেম্বর শাম্মী আহমেদের মনোনয়ন বাতিল করে দেন। আর একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথের প্রার্থিতা বহাল রাখেন।
পরে শাম্মী আহমেদ হাইকোর্টে রিট করেন। যেটি সোমবার খারিজ হয়ে যায়।
পরে তিনি মঙ্গলবার আপিল বিভাগে আবেদন করেন। তার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও শাহ মঞ্জুরুল হক। শুনানি শেষে চেম্বার আদালত ‘নো অর্ডার’র আদেশ দেন। ফলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকলো।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩
ইএস/এসআইএস