ঢাকা: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদারকে নয় মামলায় জামিন দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দুজন বিচারক পৃথকভাবে জামিনের এ আদেশ দেন।
গত ১৩ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন নয় মামলায় ওয়ারেন্ট মূলে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আজ তার পক্ষে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন সাতটি এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব দুটি মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
এর আগে তাকে গ্রেপ্তারের পর মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপকমিশনার রিফাত রহমান শামীম সাংবাদিকদের বলেন, মঞ্জুরের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনেও মামলা আছে। এই মামলার বাদী পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে।
সিআইডির দেওয়া তথ্য মতে, ২০২০ সালের ২৬ জুলাই আলেশা মার্ট যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর থেকে নিবন্ধন পায়। প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয়। আনুষ্ঠানিকভাবে আলেশা মার্টের যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি।
‘আছি তো আমরা আছি তো’ স্লোগান নিয়ে বাজারে আসে প্রতিষ্ঠানটি। সেই সময়কার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী নিজে উপস্থিত থেকে এর উদ্বোধন করেন।
যাত্রা শুরুর পর কম মূল্যে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য সরবরাহের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নেয় প্রতিষ্ঠানটি। তবে বহু গ্রাহককে পণ্য না দিয়ে কিংবা টাকা ফেরত না দিয়ে ই-কমার্স ব্যবসার আড়ালে প্রতারণার মাধ্যমে তারা টাকা পাচার (মানি লন্ডারিং) করে বলে দাবি সিআইডির।
আলেশা মার্টের প্রতারণার বিষয়ে সিআইডি জানায়, আলেশা মার্ট চারটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ৪২১ কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ৩১ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ কেনা হয়েছে। ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২৫ আগস্টের মধ্যে এই সম্পদ কেনা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৪
কেআই/এসআইএস