ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বরগুনায় কিশোরী অপহরণ, ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৪
বরগুনায় কিশোরী অপহরণ, ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ

বরগুনা: বখাটের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ১৩ বছর বয়সি এক মাদরাসা ছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে অপহরণসহ ধর্ষণ মামলা করেছে ভিকটিম ছাত্রীর মা।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও সিনিয়র জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান মামলাটি গ্রহণ করেন এবং বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ভিকটিমকে উদ্ধারসহ সাত দিনের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।  

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল।  

জানা গেছে, বরগুনা সদর উপজেলার পশ্চিম ধুপতি গ্রামের ১৩ বছরের কিশোরী বরগুনা পৌরসভার একটি মাদরাসায় পড়াশোনা করে। বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার ঘটখালী গ্রামের বাবুল হাওলাদারের ছেলে মো. রিমু (২০) প্রায়ই ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতেন। একপর্যায় মাদরাসা ছাত্রীকে অন্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে তার পরিবার। তারপরও রিমু মাদরাসা ছাত্রীর পিছু ছাড়েননি। গত ১৫ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় ভিকটিম কিশোরী প্রাইভেট পড়ার জন্য বাসার সামনে এলে রিমু তার বন্ধুদের নিয়ে মোটরসাইকেলে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনা দেখে মামুন রেজা নামে একজন ভিকটিমের বাবাকে জানায়। পরে ছাত্রীর পরিবার তার মেয়েকে খুঁজে কোথাও পায়নি।

ভিকটিম ওই মাদরাসা ছাত্রীর বাবা, রিমুর বাবা বাবুল হাওলাদার, তার মা বেবী বেগম ও বন্ধু বশিরকে বিষয়টি জানায়। তারা মেয়ের বাবাকে সহযোগিতা না করে রিমুর সঙ্গে বিয়ে দিতে বলেন।

ভিকটিমের মা বলেন, আমার মেয়েকে রিমু অন্যান্য আসামিদের সহযোগিতায় জোরপূর্বক অপহরণ করেছে। এক মাসেও আমার মেয়ের খোঁজ পাইনি। আমার ধারণা রিমু আমার মেয়েকে কোথাও আটক করে ধর্ষণ করতে পারে। আমার মেয়ে বেঁচে আছে কিনা তাও জানি না। আমার মেয়েকে কোথাও না পেয়ে ১৭ ডিসেম্বর বরগুনা থানায় মামলা করতে যাই। থানার ওসি মামলা না নিয়ে একটি সাধারণ ডাইরি (জিডি) করে। জিডি করার পরও আমার মেয়েকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করতে থাকি। না পেয়ে আবারও ১৬ জানুয়ারি বরগুনা থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি।

বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম মো. মিজানুর রহমান বাদীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ১৭ ডিসেম্বর বরগুনা থানায় মেয়ের মা নিখোঁজ সাধারণ ডায়েরি করতে আসছিলেন। তখন মামলা করতে চায়নি। এরপর আর মামলা করতে আসেনি। মামলা করতে এলে অবশ্যই মামলা নেব।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।