ঢাকা: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ চালুসহ চারটি বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার স্থগিত করা দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল দ্রুত পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নেওয়া।
আপিলের জটিলতা নিরসনের জন্য আপিল বিভাগে আরও বিচারপতি নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি অপেক্ষমাণ মামলাগুলো দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা করা।
কম্বোডিয়া ও অন্যান্য কয়েকটি দেশে যুদ্ধাপরাধের মামলায় আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চ ট্রাইব্যুনালে গিয়ে আপিল শুনানি নিষ্পত্তি করেন। বাংলাদেশের মতো কোথাও এসব ট্রাইব্যুনালের মামলার আপিল শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে যেতে হয় না। আমরা মনে করি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কম্বোডিয়ার মতো আপিলের ব্যবস্থা করা হবে। ট্রাইব্যুনালের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা যাবে।
পুরোনো হাইকোর্ট ভবনে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর আমরা এই বিচার কার্যক্রমের ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকার এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রতি আবেদন করেছিলাম, মামলার সব কার্যবিবরণী ও দলিলপত্র যথাযথভাবে সংরক্ষণ করার জন্য। যাতে করে বিচারকার্য শেষ হওয়ার পর নুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনালের প্যালেস অব জাস্টিসের মতো আমাদের ট্রাইব্যুনালের বর্তমান ভবনটি জাদুঘর ও আর্কাইভে রূপান্তরিত করা যায়। এর ফলে আগামী প্রজন্ম এবং বিশ্ববাসী ৭১-এর গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের ব্যাপকতা ও ভয়াবহতার পাশাপাশি জানতে পারবে কী ধরনের প্রতিকূলতার ভেতর ৪০-৫০ বছর পরও সাফল্যের সঙ্গে বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির ছাড়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, মাহফুজা খানম, সহ-সভাপতি মুনতাসীর মামুন ও সাবেক এমপি আরমা দত্ত, সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল ও আইটি সেলের প্রধান আসিফ মুনীর।
সাক্ষাৎ শেষে শাহরিয়ার কবির বলেন, প্রধান বিচারপতি আমাদের দাবিগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আমরা আশা করবো মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ পরিবার এবং বিচারপ্রত্যাশী গোটা জাতির স্বার্থে আমাদের আবেদন বিবেচনা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৪
ইএস/এএটি