ঢাকা: গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের কাছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দাবি করা আয়কর চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রেফারেন্স মামলা করতে হলে স্বীকৃত দাবির ২৫ শতাংশ জমা দিতে হবে।
হাইকোর্টের দেওয়া এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।
নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান।
আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তাহমিনা পলি।
১২ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান জানিয়েছিলেন, এনবিআর যে আয়কর দাবি করেছে, সে দাবিটি হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করতে হলে স্বীকৃত দাবির ২৫ শতাংশ জমা দিয়ে সেটি করতে হয়। আমরা এনবিআরের কাছে এই ২৫ শতাংশ জমা দেওয়ার বিষয়ে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছিলাম। এনবিআর সেটি প্রত্যাখ্যান করেছিল। এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে আদালত রুল দিয়েছিলেন, সে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের কাছে এনবিআরের দাবি করা আয়কর চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রেফারেন্স মামলা করতে হলে ২৫ শতাংশ দিতে হবে।
একইদিন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তাহমিনা পলি জানিয়েছিলেন, ২০১১-১২ ও ২০১২-২০১৩ করবর্ষে ২৫০ কোটি টাকা আয়কর দাবি করে গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টকে নোটিশ দেয় এনবিআর। এখন হাইকোর্টে রেফারেন্স মামলা করতে হলে মোট দাবির ২৫ শতাংশ হিসাবে ৫০ কোটি টাকা দিতে হবে।
২৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশের ১৬০(১) এর (এ) ও (বি) ধারার অধীনে এনবিআর আদেশ দিয়েছে যে, কার্যক্রম প্রশাসনিক প্রকৃতির। সে অনুযায়ী এনবিআর রিভিউ আবেদনকারীকে (গ্রামীণ টেলিকম) কেবল জানিয়েছে যে, মওকুফ চেয়ে করা আবেদনটি ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর এক আদেশে খারিজ হয়েছে। এতে এই আদালত (হাইকোর্ট) বেআইনি কিছু পাননি।
তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কিনা তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেননি ড. ইউনূসের আইনজীবী।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫২ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২৪
ইএস/আরএ