ঢাকা: সাতকানিয়ায় কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রতিপালন না হওয়ায় ব্যাখ্যা জানতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ চারজনকে অনলাইনে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর একটায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ বিষয়ে তাদের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী উজ্জল পাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় নির্বিচারে কাটা হচ্ছে ফসলি জমির টপসয়েল। কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না ফসলি জমির মাটিকাটা। রাতের অন্ধকারে যে যেভাবেই পারছে স্কেভেটর (মাটি খননযন্ত্র) দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে ডাম্পারযোগে (মিনি ট্রাক) ইটভাটায় সরবরাহ করা হচ্ছে। উপজেলার প্রতিটি এলাকায় সিন্ডিকেট করে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে আব্দুল মুনাফ নামের স্থানীয় একজন স্থানীয় বাসিন্দা হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ১৯ মার্চ টপসয়েল কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ আদেশের পরও টপসয়েল কাটা অব্যাহত থাকার বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হয়। এরপর আদালত সংশ্লিষ্টদের অনলাইনে তলব করেন।
এদিকে সাতকানিয়ায় গভীর রাতে কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কাটার সময় আটক দুইজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (২১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কালিয়াইশ ইউনিয়নের পাঠানীপুল এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন বিশ্বাস।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নলুয়া ইউনিয়নের মৈশামুড়া মরফলা বাজার এলাকার মো. আবুল কামাল (৪২) ও লোহাগাড়ার পদুয়া ইউনিয়নের পূর্ব বাগমোয়া এলাকার মৃত আব্দুল রশিদের ছেলে মো. এরশাদ হোসাইন (৩৮)।
ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করেন সাতকানিয়া থানার পুলিশ সদস্য ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে টপসয়েল কাটার সময় আটক দুইজনকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৪
ইএস/এএটি