ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ভাড়াটে লোক দিয়ে আদালতে হাজিরা, অবশেষে কারাগারে প্রবাসী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০১ ঘণ্টা, মে ২, ২০২৪
ভাড়াটে লোক দিয়ে আদালতে হাজিরা, অবশেষে কারাগারে প্রবাসী

বাগেরহাট: বাগেরহাটের শরণখোলায় টাকার বিনিময়ে পোশাক শ্রমিককে দিয়ে আদালতে হাজিরা দেওয়ানো হলেও শেষ রক্ষা হয়নি সৌদি প্রবাসী ফরিদ উদ্দিন মানিকের, যেতে হয়েছে কারাগারে।  

রোববার (২৮ এপ্রিল) আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ড. মো. আতিকুস সামাদ জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর একদিন আগে ২৭ এপ্রিল সৌদি থেকে বাংলাদেশে ফেরেন তিনি।

কারাগার থাকা ফরিদ উদ্দিন মানিক শরণখোলা উপজেলার পশ্চিম খাদা গ্রামের মৃত আব্দুস ছালাম শেখের ছেলে। ২০২৩ সালের ১৯ এপ্রিল একটি মারামারির মামলায় টাকার বিনিময়ে আসামি ফরিদ উদ্দিন মানিক সেজে আদালতে হাজিরা দেন একই উপজেলার আল আমিন তালুকদার নামে এক পোশাক শ্রমিক। তখন আদালতের বিচারক ভারপ্রাপ্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ড. মো. আতিকুস সামাদ জামিন প্রার্থনা না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে আসামি বদলের বিষয়টি জানাজানি হয়। এ ঘটনায় প্রায় ছয় মাস কারাভোগের পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান আল আমিন তালুকদার।

আরও পড়ুন: আদালতে প্রবাসীর হয়ে প্রক্সি দিতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন ব্যবসায়ী 

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২১ মার্চ বেলা ১১টার দিকে প্রবাসী ফরিদ উদ্দিন মানিক ও তার লোকজন রায়েন্দা এলাকায় আব্দুস সালাম ও তার ভাইদের জমি দখল করতে যান। এতে বাধা দিলে ফরিদ উদ্দিন মানিকের লোকজন আব্দুস সালামের লোকজনের ওপর হামলা করেন। পরে আব্দুস সালাম বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় প্রবাসী ফরিদ উদ্দিন মানিকসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ ঘটনায় ওই বছরের ৩১ মে চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে শরণখোলা থানা পুলিশ। পরে প্রবাসী ফরিদ ছাড়া অন্য আসামিরা আদালত থেকে জামিন নেন। কিন্তু ফরিদ উদ্দিন মানিক গোপনে সৌদি আরবে পাড়ি জমান।

মামলার বাদী আব্দুস সালাম বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও মূল আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করায় আমরা খুশি।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) বিকেলে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট অনিমা দেবনাথ বলেন, আসামি একজন প্রতারক। তিনি প্র্রবাসে থেকে টাকার বিনিময়ে আরেক জনকে দিয়ে আদালতে হাজিরা দিইয়েছিলেন। এটা অনেক বড় অন্যায়। এখন তিনি আত্মসমর্পণ করেছেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। আশা করি, মামলার বাদী ন্যায়বিচার পাবেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২৪
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।