ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

গোপন বৈঠক, ৫ প্রিসাইডিং অফিসারসহ ৬ জন কারাগারে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২৪
গোপন বৈঠক, ৫ প্রিসাইডিং অফিসারসহ ৬ জন কারাগারে

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ প্রিসাইডিং অফিসারসহ ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

মঙ্গলবার (৭ মে) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক মো. বিল্লাল হোসাইন তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 

সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল ওয়াদুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুলহাজ উদ্দীন জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে। তবে এখন পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম জানা যায়নি।  

তবে দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী রাশেদ ইউসুফ জুয়েলের দাবি করে বলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. রিয়াজ উদ্দিন নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য প্রিসাইডিং অফিসারদের নিয়ে গোপন বৈঠক করেছেন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।  

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ওই বৈঠকের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের একটা অংশ।  

এর আগে সোমবার (৬ মে) দিনভর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- সদর উপজেলার যমুনা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, পৌর এলাকার এসবি রেলওয়ে কলোনি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক আবু সামা, বাহুকা কলেজের প্রভাষক বাচ্চু কুমার ঘোষ, জনতা ব্যাংক সিরাজগঞ্জ জোনাল অফিসের প্রিন্সিপাল অফিসার ইয়াসিন আরাফাত এবং তাদের সমন্বায়ক শিয়ালকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আমিনুর ইসলাম।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, গোপন বৈঠকের অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে অবগত করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত রিপোর্টের পরেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে নির্বাচন কমিশন।  

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১০ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে নতুন ১০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।