ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৩ মে ২০২৪, ১৪ জিলকদ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

দেশে রাজনৈতিক মামলা হয় না: অ্যাটর্নি জেনারেল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৪
দেশে রাজনৈতিক মামলা হয় না: অ্যাটর্নি জেনারেল

রাজশাহী: অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, ‘আমার জানামতে পুলিশ কোনো রাজনৈতিক মামলা করে না। দেশে কোনো রাজনৈতিক মামলাও হয় না।

কোনো ঘটনা ঘটলে একজন ইনফরমেটিভ হন, পরে রাষ্ট্র মামলা পরিচালনা করে। ’

রোববার (১২ মে) সকালে রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে মুট কোর্ট ক্লাবের উদ্বোধন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোতে অধিকাংশ মামলা বিচারের আগেই নিষ্পত্তি হয় আপস-মীমাংসায়। এতে আদালতে মামলাজট থাকে না। এই কারণে বাইরের দেশগুলোতে বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা কমে যায়। আর আমাদের দেশে প্রায় সব মামলাই বিচারের জন্য আদালতে যায়। আর প্রতিটি মামলাতেই সাক্ষ্য হয়, প্রমাণ হয়। এসব আইনি প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লেগে যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায়, একজন বিচারকের কাছে ২০, ২৫, ৫০ কিংবা ১০০টা মামলাও জমে থাকে। তখন এসব মামলার বিচার ও নিষ্পত্তিতে অধিক সময় লেগে যায়। ’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এখন পর্যন্ত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কি না, তা আমার জানা নেই। তবে সম্ভবত মামলা হয়নি। এই আইনটা সতর্কভাবে প্রয়োগ করার কথা বলা আছে এবং এই মামলাগুলো যিনি করবেন, তাকে কিন্তু অনেক কিছু প্রমাণ করতে হবে। তাই এই আইনে মামলা করাও সহজ কাজ নয়। আর এই আইনে কারও যেন হয়রানি না হয়, সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা রাখা হয়েছে। ’

রোববার সকালে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে মুট কোর্ট ক্লাবের উদ্বোধন করেন। এ সময় সাবেক এমপি সাইফুজ্জামান শিখর, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. আনন্দ কুমার সাহা ছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে মুট কোর্টে প্রতীকী বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা হয়। সেখানে বিচারক হিসেবে ছিলেন রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান।

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই প্রতীকী বিচারকাজে মামলার বাদী, সাক্ষী, আসামি, আদালতের কর্মচারী ও আইনজীবীর ভূমিকা পালন করেন। এরপর ‘আইন পেশায় কেন আসবেন’ শীর্ষক আইন ও মানবাধিকার বিভাগের একটি সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল।  

এতে অতিথি বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মুহাম্মদ আশরাফ আলী। সভাপতিত্ব করেন আইন ও মানবাধিকার বিভাগের বিভাগের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক আবু নাসের মো. ওয়াহিদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৪
এসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।