ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কোটা আন্দোলন নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৪
কোটা আন্দোলন নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: কোটা আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রাজাকার স্লোগান দেওয়ার প্রতিবাদে এবং আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ঘটনার প্রতিবাদে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি এ দুই সংবাদ সম্মেলন করে।

 

প্রথমে রাজাকার স্লোগান দেওয়ার প্রতিবাদে সমিতির সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক সরকার সমর্থক ১০ জনের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন করেন।

পরে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সমিতির সভাপতি বিএনপি সমর্থক চারজনের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন করেন।

মোট কার্যনির্বাহী কমিটির ১৪ জন সদস্যের মধ্যে গত নির্বাচনে ১০টি পদ পেয়েছিল সরকার সমর্থকরা। আর বাকি চারটি পেয়েছিল বিএনপি সমর্থকরা।    

সংবাদ সম্মেলনে শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়াশোনা করেন, তারা ভাষা আন্দোলনসহ প্রগতিশীল সব সংগ্রামের অংশীদার। সেখানে পড়াশোনা করে তারা যদি নিজেদের রাজাকার বলে দাবি করে, আন্দোলন চালায়, ধরে নিতে হবে তাদের পিছনে কোনো অশুভ শক্তি কাজ করে যাচ্ছে।  

তিনি বলেন, রাজাকার বলে স্লোগান দেওয়ার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়শনের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাই, ধিক্কার জানাই। তাদের অনুরোধ করব এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থেকে আন্দোলন প্রত্যাহার করে আদালতের সিদ্ধান্তের জন্য  অপেক্ষা করতে।

নির্বাহী বিভাগের কাছে দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের এ দাবি অযৌক্তিক অসাংবিধানিক ও বেআইনি। কারণ আন্দোলন একটি বৈধ বা যৌক্তিক দাবির জন্য। সব কোটা প্রথা বহাল করেছেন হাইকোর্ট বিভাগ। এটি এক্সামিন করবেন আপিল বিভাগ। আদালতের কার্যধারা বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এর জন্য এখন তাদের আন্দোলন থেকে বিরত থাকার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আর তারা এখন নির্বাহী বিভাগের দাবির মধ্যেও নেই।  

তিনি আরও বলেন, গতকাল তারা (আন্দোলনকারী) বলেছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংসদে আইন করতে হবে। আমি বলছি এটি আইন প্রণয়নের কোনো বিষয় না। এটি হলো প্রজ্ঞাপনের বিষয়। আদালতের সিদ্ধান্তের পর নির্বাহী বিভাগ যা করবে, প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে করবে।  

অপরদিকে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, গতকাল অনেক ছাত্রছাত্রী আহত হয়েছেন। মেয়েদের হেনস্তা করা হয়েছে। পুলিশ পেছনে ছিল। সরকারি দল সামনে ছিল। গণমাধ্যমে এসেছে কীভাবে মেরেছে। কয়েকশ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। রক্তাক্ত হয়েছেন। আন্দোলন হলো মৌলিক অধিকার। দেশে কি মৌলিক অধিকার নেই? 

তিনি বলেন, মৌলিক অধিকার থাকলে এ রকম ঘটনা ঘটতে পারে? এখানে পুলিশের ভূমিকা কী ছিল? পুলিশের কোনো ভূমিকা ছিল না। অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন। সেখানেও ছাত্রলীগের লোকজন হামলা করেছেন। আমরা কি সভ্য দেশে আছি? এ পর্যন্ত সরকারের কাছ থেকে বিবৃতি আসেনি।

তিনি বলেন, ন্যক্কারজনক ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি। যাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে, তাদের আইনি সহায়তা দেব।  

সব আইনজীবীকে এ নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, জুলাই ১৬,২০২৪
ইএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।