খুলনা: খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সোনালী সেনসহ ৩ কর্মকর্তার নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, খুলনা সদর থানা পুলিশের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম ও উপপরিদর্শক (এসআই) মনির।
মহানগরীর ৩১ নম্বর বিএনপির সহ সভাপতি বাবুল কাজীকে হত্যার অভিযোগে তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আনিচুর রহমানের আদালতে এই মামলা দায়ের করেন।
বাদীর আইনজীবী তৌহিদুর রহমান তুষার বলেন, আদালত মামলাটি গ্ৰহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২৩ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৯ মার্চ খুলনার কেডি ঘোষ এলাকায় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আন্দোলন চলাকালে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হন নগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মো. বাবুল কাজী। তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ দিন পর মৃত্যু হয় তার।
বিএনপি নেতারা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২০২১ সালের ২৯ মার্চ খুলনায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার কথা ছিল বিএনপির। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে যখন নেতাকর্মীরা শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে সমাবেশের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন পুলিশ তাদেরকে বাঁধা দেয়। এ সময় দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা পুলিশের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে পুলিশ তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে। এরপরই পুলিশ তাদের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত লাঠিচার্জ করলে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি বাবুল হোসেন কাজী, নগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু, বটিয়াঘাটা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার ফারুক হোসেন, জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল হালিম, কাজী ফজলুল কবির টিটো, স্বেচ্ছাসবক দলের আলাউদ্দিন তালুকদার, বটিয়াঘাটা থানা বিএনপির মোতাহার হোসেন, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিজান ও নগর যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম শাহীন আহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৪
এমআরএম/এএটি