ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পিরোজপুরের সাবেক এসপিসহ ৪ পুলিশের নামে মামলা

ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪
পিরোজপুরের সাবেক এসপিসহ ৪ পুলিশের নামে মামলা

পিরোজপুর: পিরোজপুরের জেলা পুলিশের সদ্য সাবেক পুলিশ সুপার মো. শফিউর রহমান ও সদর থানার ওসিসহ ৪ পুলিশের নামে নির্যাতন ও অস্ত্র দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে মামলা হয়েছে।  

বুধবার  (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শুনানি শেষে বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন- সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মাদ হোসেন, সাবেক ইন্সপেক্টর মো. জুলফিকর আলী, সাবেক এসআই মো. মনিরুল ইসলাম। এছাড়া ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত ২৮ আগস্ট জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন কুমার ওই ৪ পুলিশ কর্মকর্তার নামে আদালতে মামলাটি করেন। পরে পিরোজপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেলাল উদ্দিনের আদালত ওই আদেশ প্রদান করেন।  

জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন কুমারের দায়ের করা মামলার সূত্রে জানা  গেছে, গত ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে পিরোজপুর পৌরসভার উত্তর কৃষ্ণনগর বাড়ির সামনের রাস্তার ওপর থেকে সাদা পোশাকে থাকা অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাকে আটক করেন। এর পর ওই রাতের ১২টার দিকে তাকে টহল পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।  

পরের দিন সকালে পুলিশ তাকে হতাকড়া পরিয়ে কালো কাপড় দিয়ে তার দুই চোখ বেঁধে সদর থানার ওই সময়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মাদ হোসেন থানার গারদের সামনে বেত দিয়ে মারাত্মকভাবে ২-৩ মিনিট ধরে পেটাতে থাকেন। এতে সে (কুমার) নিস্তেজ হয়ে পড়লে পরে তাকে বুট পরিহিত অবস্থায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাথি মারতে থাকে। পরের দিন তাকে আদালতে হস্তান্তর না করে প্রচণ্ড শীতে রাতভর খালিগায়ে থানা গারদের মেঝেতে শুইয়ে রাখা হয়। পরে  ওই রাতের গভীরে তাকে হাতকড়া পরিয়ে বাড়ির কাছের একটি কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একটি ধরিয়ে দিয়ে ছবি তুলে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা দেয়া হয়।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশের সদ্য সাবেক পুলিশ সুপার মো. শফিউর রহমান গত ৩ সেপ্টেম্বর বদলি হলে তার কোনো সাক্ষাৎকার নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে এ বিষয়ে জানতে পিরোজপুর সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মাদ হোসেনের সঙ্গে ফেসবুক মেসেঞ্জারে কথা হলে তিনি বলেন, ওই ছাত্রদল নেতাকে তিনি গ্রেপ্তার করেননি। করেছেন সেই রাতে দায়িত্বরত পুলিশ। আমার ওসি তাকে কোনো ধরনের শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ মিথ্যা।

ওই মামলার বাদী ছাত্রদল নেতা সালাউদ্দিন কুমার বলেন, সাজানো অস্ত্র মামলায় ৪ মাস কারাভোগের পর জামিন হয়। আটকের সময় পুলিশের মারধরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে বিনা চিকিৎসায় কারাগারে থাকতে হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।