ঢাকা: রাজধানীর মতিঝিল থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সচিব (পিএস) মিয়া নুরউদ্দিন আহমেদ অপুকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল হালিম তাকে খালাসের রায় দেন।
অপুর আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে ছিল। তবে আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করে অপুসহ অন্য আসামিদের খালাস দেন। এতে প্রমাণিত হলো মামলাটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক ছিল।
২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় র্যাব-৩ এর ডিএডি (নায়েব সুবেদার) বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ও ২০১৩ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৭/৩০ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও দেশকে অস্থিতিশীল করতে মতিঝিল সিটি সেন্টারে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ এবং ইউনাইটেড করপোরেশন অফিসে বিপুল পরিমাণ অর্থ মজুদের অভিযোগ পায় র্যাব-৩। সেই সংবাদ পেয়ে ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহমুদুল হাসানের ভাগনে এ এম হায়দার আলীকে (২৪) আটক করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে তিন কোটি ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জব্দ করে র্যাব। একই কাজে ব্যবহারের জন্য আরও পাঁচ কোটি টাকা মানিটারি এক্সপ্রেস অফিসে রেখে আসার কথা তিনি স্বীকার করেন। এ ঘটনায় ছয়জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। আসামিরা হলেন, এ এম আলী হায়দার নাফিজ, জয়নাল আবেদীন, মো. আলমগীর হোসেন, মিয়া নুরউদ্দিন আহমেদ অপু, আতিকুর রহমান আতিক ও মো. মাহমুদুল হাসান।
আসামি নুরউদ্দিন তারেক রহমানের সাবেক পিএস ও শরীয়তপুর-৩ আসনে বিএনপির দলীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলেন। এ মামলায় ২০২১ সালের ১৩ জুন সাতজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে র্যাব। চার্জশিটে এ ছয়জনের সঙ্গে মো. ফয়েজুর রহমানের নাম যুক্ত করা হয়। একই বছর ১২ আগস্ট মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বদলি হয়ে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৪
কেআই/এএটি