ঢাকা: বিক্ষুব্ধ কিছু আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে এজলাসে ওঠেননি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের সামনে বিচারককে অপসারণ করার দাবিতে বিক্ষোভ করেন আইনজীবীরা।
আন্দোলনের নেপথ্যে রয়েছে জামিন নামঞ্জুরের একটি আদেশ। এর সত্যতা স্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মিরাজ উদ্দিন শিকদার।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে এক আসামির জামিন নামঞ্জুর করায় উপস্থিত আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বিচারককে উদ্দেশ্য করে ক্ষোভ ঝাড়েন। এ সময় বিচারক এজলাস ত্যাগ করে খাসকামড়ায় চলে যান। আজ আইনজীবীরা বিক্ষোভ করায় বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে তিনি এজলাসে ওঠেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসামিপক্ষের আইনজীবী শামসুজ্জামান দীপু বলেন, বিচারকের আচরণে সাধারণ আইনজীবীরা ক্ষিপ্ত। এজন্য সাধারণ আইনজীবীরা তার অপসারণ চেয়ে আন্দোলন করছেন। ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়ে অবগত রয়েছেন। তাদের সম্মতি নিয়েই সাধারণ আইনজীবীরা সাইবার ট্রাইব্যুনাল বয়কট করেছেন।
ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা যায়, এক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। তার অনুপস্থিতিতে মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও তার জামিন চাইলে বিচারক আবেদন নামঞ্জুর করেন। এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবী জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় উন্মুক্ত এজলাসে বিচারকের সাথে অশোভন আচরণ করলে তিনি এজলাস ত্যাগ করেন।
এদিকে আন্দোলনরত আইনজীবীরা জানান, এই বিচারক নিয়মিত আইনজীবীদের ও বিচার প্রার্থীদের সাথে দুর্ব্যবহার করে থাকেন। একজন বিচারকের কাছ থেকে এমন আচরণ প্রত্যাশিত না। প্রতিনিয়ত তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। এজন্য আমরা তার অপসারণ চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের একজন নেতা জানান, যারা আন্দোলন করছেন তারা ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সদস্য। তবে কমিটি এই আন্দোলনে সম্মতি আছে কি না বলতে পারছি না।
আন্দোলনে সম্মতি রয়েছে কি না সেই বিষয়ে জানতে ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ঢাকা বার ইউনিটের সদস্য সচিব নিহার হোসেন ফারুকের সঙ্গে মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৫
কেআই/এএটি
