বরিশাল: বরিশালে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যায় স্বামী এবং গৃহবধূকে ধর্ষণ ও হত্যায় এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও দুইজনকে ৫০ ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহা. রকিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন-বরিশালের উজিরপুর উপজেলার উত্তর মোড়াকাঠি গ্রামের মৃত আবুল বাশার সরদারের ছেলে সোহেল সরদার (৩৯) ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা কৃষ্ণকাঠি গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু গাজীর ছেলে হৃদয় গাজী (৩৪)।
রায় ঘোষণার সময় উভয় আসামি পলাতক ছিলেন।
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান জানান, উজিরপুরের দক্ষিণ মাদারসী গ্রামের বাসিন্দা সাইপ্রাস প্রবাসী সেলিম মোল্লার মেয়ে ফেরদৌসি জাহান সুমীকে প্রেমের প্রলোভনে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে। পরে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবিতে তাকে নির্যাতন করে ২০০৯ সালের ২২ জুন হত্যা করে। এ ঘটনায় সুমীর মা নাসরিন বেগম বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে ৩ জুলাই উজিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। ২০০৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর উজিরপুর থানার এসআই আলতাফ হোসেন চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। বিচারক ১২ জনের সাক্ষ্য নিয়ে রায় দেন। এতে সোহেল সরদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। খালাস দেওয়া হয় ছালেহা বেগম, হাওয়া বেগম ও সাথী বেগমকে।
বেঞ্চ সহকারী আরও জানান, বাকেরগঞ্জের আতাকাঠি গ্রামে স্বামী পরিত্যক্তা গৃহবধূ মাকসুদা বেগমকে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২০১১ সালের ১৫ জুলাই নিহতের ভাই ফিরোজ হাওলাদার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাকেরগঞ্জ থানার এসআই আফজাল হোসেন তদন্ত শেষে একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর একমাত্র হৃদয় গাজীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয়। বিচারক ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় দেন। রায়ে হৃদয়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫
এমএস/আরএ