ঢাকা: শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট উল্লেখ করে তার সহযোগী ছিলেন না দাবি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার এক হত্যাচেষ্টা মামলায় রিমান্ড শুনানিকালে তিনি একথা বলেছেন।
মঙ্গলবার (০৮ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালতে এই রিমান্ড শুনানি হয়।
এদিন তুরিন আফরোজকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন উত্তরা পশ্চিম থানা থানার উপপরিদর্শক সুমন মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড চেয়ে শুনানি করেন।
তুরিন আফরোজের পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় তিনি নিজেই শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, মাননীয় স্যার, আমি দুই-তিন মিনিট যতটুকু পারব কথা বলতে চাই। হত্যাচেষ্টার ঘটনাটি ৪ আগস্টে। এ সময় আমার টিউমার অপারেশন হয়। আমি সব ডাক্তারি রিপোর্ট দিতে পারব। আমি চার বছর ধরে মিডিয়ায় কিছু বলিনি বা লিখিনি।
তুরিন আফরোজ আরও বলেন, আমাকে ১০ দিন কেন ২০ দিনের রিমান্ড দিয়ে দিন। আমি ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সময় ছয় বছর ধরে চাকরি থেকে বঞ্চিত। আমি ফ্যাসিস্ট হাসিনার সহযোগী ছিলাম না। তবে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আমি তদন্ত কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করব। আশা করছি আমি ন্যায়বিচার পাব।
শুনানি শেষে বিচারক তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সোমবার রাতে উত্তরার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শেষ দিন ৫ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে আ. জব্বার উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ওপর বিএনএস সেন্টারের সামনে গুলিবিদ্ধ হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। গত ২৭ মার্চ উত্তরা পশ্চিম থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০০/১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন আ. জব্বার। মামলায় এজাহারভুক্ত ৩০ নম্বর আসামি ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২৫
কেআই/এমজেএফ