ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৩ জুন ২০২৫, ০৬ জিলহজ ১৪৪৬

আইন ও আদালত

জামায়াতের ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকের বিষয়ে নিষ্পত্তি করবে ইসি: শিশির মনির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:৪৯, জুন ১, ২০২৫
জামায়াতের ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকের বিষয়ে নিষ্পত্তি করবে ইসি: শিশির মনির রোববার সকালে রায়ের পর সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন জামায়াতের আইনজীবী শিশির মনির। ছবি: ডিএইচ বাদল

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের বিষয়টি নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন। রোববার (০১ জুন) সকালে এ সংক্রান্ত রায়ের পর জামায়াতের আইনজীবী শিশির মনির একথা বলেন।

 

এদিন সকাল ১০টার পর আপিল বিভাগ সংক্ষিপ্ত রায় দেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ আপিল মঞ্জুর করে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে দেন।  

রায়ের আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের যে রায় ছিল এই রায়কে বাতিল ঘোষণা করেছেন। ইলেকশন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর রেজিস্ট্রেশন এবং অন্য যেসকল ইস্যু ইলেকশন কমিশনের সামনে আছে বা আসবে সেগুলো যেন দ্রুতই নিষ্পত্তি করেন। এরই মাধ্যমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তার নিবন্ধন ফিরে পেল।  

প্রতীকের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতীকের বিষয়টিও ইলেকশন কমিশনের সামনে রেফার করা হলো আদার ইস্যু (অন্যসকল বিষয়) হিসেবে। আমরা মামলার শর্ট অর্ডার চেয়েছি। আশা করছি আগামীকালের মধ্যেই মামলার সংক্ষিপ্ত আদেশ আমরা হাতে পাব। এই সংক্ষিপ্ত আদেশ আমরা ইলেকশন কমিশনের কাছে অ্যাপ্রোচ (উপস্থাপন) করব। ইলেকশন কমিশন অতিদ্রুত জামায়াতের নিবন্ধন ও জামায়াতের প্রতীক ফিরিয়ে দিবেন এটা আমরা প্রত্যাশা করি।  

এর আগে গত ১৪ মে এ মামলায় আপিল শুনানি শেষে রায়ের জন্য ১ জুন দিন ধার্য করেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।  

ওইদিন আদালতে জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।

২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত না থাকায় আদালত আপিল মামলাটি খারিজ করে দেন।

এরপর আপিলটি পুনরুজ্জীবনের জন্য আবেদন করা হয়। গত বছরের ২২ অক্টোবর আদালত বিলম্ব মার্জনা করে আপিলটি শুনানির জন্য রিস্টোর করেছেন অর্থাৎ পুনরুজ্জীবন করেছেন।

এরপর ৩ ডিসেম্বর আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছিল। চতুর্থ দিনের মতো শুনানি শেষে মামলার রায়ের দিন ধার্য করা হয়।  

২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে সাময়িক নিবন্ধন দেওয়া হয়। পরের বছর বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির তৎকালীন মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন।

রিটে জামায়াতের তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, নির্বাচন কমিশনসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়। তারা জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের আর্জি জানান।

২০১৩ সালের ১২ জুন ওই রুলের শুনানি শেষ হয়। একই বছরের ১ আগস্ট জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অবৈধ বলে রায় দেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন (বর্তমানে অবসর), বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম (পরে আপিল বিভাগের বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন) ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের (১৯ নভেম্বর পদত্যাগ করেন) সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ।

কেআই/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।