ঢাকা: ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে সোমবার (১৬ জুন) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা এমন দিনে ঘটলো, যখন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কয়েকজনের নামে ওই অপরাধের একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি ছিল।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, আজ ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে ট্রাইব্যুনালের সামনের পাকা রাস্তায় একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এ সময় একটি অবিস্ফোরিত ককটেলও উদ্ধার করা হয়।
ওসি মনসুর জানান, এই বিস্ফোরণের ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে, এখন পর্যন্ত জড়িত কাউকে চিহ্নিত করা যায়নি।
এদিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুনানি আজ ট্রাইব্যুনালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুঁজে না পাওয়ায় ট্রাইব্যুনাল তাদের আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ জুন নির্ধারিত হয়েছে। এই শুনানিতে মামলার আরেক আসামি, সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও আজ উপস্থিত ছিলেন এবং চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন।
ককটেল বিস্ফোরণের এটি প্রথম ঘটনা নয়, এর আগে ১ জুন এই মামলার পূর্ববর্তী শুনানির দিনেও একই স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। শাহবাগ থানা পুলিশ সেই ঘটনা সম্পর্কে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেছিল, এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
আজকের শুনানি শেষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাটি বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা কি না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এগুলো আমলে নিচ্ছি না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এগুলো ডিল করবে। দেশের যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তার বিচার প্রক্রিয়া মসৃণভাবে অগ্রসর হবে। আর কেউ যদি এটাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করে, কেউ যদি আইন অমান্যকারী কোনো কাজ করে, সে ব্যাপারে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইএসএস/এএটি