কুমিল্লার মুরাদনগরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ২৫ বছর বয়সী এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল না করায় কুমিল্লার পুলিশ সুপারকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ২৯ জুন এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কুমিল্লার মুরাদনগরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ২৫ বছর বয়সী এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনার ভিডিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। বিটিআরসিকে এ নির্দেশনা পালন করতে বলা হয়।
এ ছাড়া ওই নারীকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও চিকিৎসা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ১৪ জুলাইদের মধ্যে মামলার তদন্ত এবং আদেশের বিষয়ে অগ্রগতি জানাতে বলা হয়।
আইনজীবী মীর এ কে এম নুরুন্নবী বলেন, ১৪ জুলাই রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এক সপ্তাহের সময় নেওয়া হলো। তারপর গত রোববারও কেউ আসেননি। আজকে ধার্য তারিখ ছিল। আজকে রিটের ৫ নম্বর বিবাদী কুমিল্লার পুলিশ সুপারকে আগামী ১২ আগস্ট সশরীরে হাইকোর্টে এসে জবাব দিতে বলেছেন। এসপি একটি কপি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে পাঠিয়েছেন হোয়াটসঅ্যাপে। সেটা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে বলার চেষ্টা করেছেন। আদালত বলেছেন-এটা অপ্রত্যাশিত। লিখিত আকারে দিতে হবে কী অগ্রগতি হয়েছে এবং কী পদক্ষেপ নিয়েছেন।
আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেছিলেন আইনজীবী মীর এ কে এম নুরুন্নবী।
ঘটনার পর পুলিশ জানায়, মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়েছে; দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি ওঠে। এ ছাড়া ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় মূল অভিযুক্ত ফজর আলীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভুক্তভোগী ঘটনার ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন ।
ইএস/এমইউএম