ভরণ-পোষণ সংক্রান্ত আইন জানার আগে ভরণ-পোষণ কি সে বিষয়ে আমাদের ধারণা থাকা দরকার। আইনানুযায়ী ভরণপোষণ হচ্ছে জীবনধারনেণের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ইত্যাদির মৌলিক চাহিদা।
কারা ভরণ-পোষণ পাবেন:
স্ত্রী, নাবালক ছেলে-মেয়ে ভরণপোষণ পাওয়ার অধিকারী।
স্ত্রীর ভরণ-পোষণ:
মুসলিম বিয়ে একটি দেওয়ানি চুক্তি। এর ফলে স্বামী-স্ত্রীর কিছু আইনগত অধিকার সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি তাদের কিছু দায়-দায়িত্বও সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে ভরণপোষণ অন্যতম।
ভরণ-পোষণ হচ্ছে স্ত্রীর অধিকার।
স্ত্রী থাকা-খাওয়া, পোশাক-পরিচ্ছদ, চিকিৎসা ও জীবনধারণের জন্য অন্যান্য যেসব উপকরন লাগবে তা পাওয়ার অধিকারী।
স্ত্রী কখন ভরণপোষণ পান
সাধারণত স্ত্রী যখন স্বামীর সঙ্গে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ থাকেন তখন এ অধিকার বলব থাকে। তবে বিবাহ বিচ্ছেদের পরেও শর্তসাপেক্ষে এ অধিকার বলবতৎ থাকে।
বিবাহ-বিচ্ছেদের পরে ভরণ-পোষণ:
যদি কোনো কারণে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে তাহলে বিবাহ-বিচ্ছেদের পরও স্ত্রী কিছুদিন ভরণ-পোষণ পাওয়ার অধিকারী হবেন। বিবাহ-বিচ্ছেদ কার্যকরী হওয়ার পর ৯০ দিন পর্যন্ত ভরণপোষণ পাবেন।
ভরণ-পোষণ আদায়ের ক্ষেত্রে স্ত্রীর আইনগত যে অধিকার রয়েছেঃ
১৯৮৫ সালের পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ অনুযায়ী ভরণপোষণের জন্য স্ত্রী মামলা করতে পারেন।
সন্তানদের ভরণ-পোষণ:
সন্তানদের ভরণ-পোষণ দেয়ার দায়িত্ব আইনগতভাবে বাবার। সাবালক হওয়া পর্যন্ত ছেলেকে এবং বিয়ের পূর্ব পর্যন্ত মেয়েকে বাবা ভরণপোষণ দিবেন।
কোনো অসুস্থ ও অক্ষম সন্তান থাকলে তাদের ভরণ-পোষণও দিবেন বাবা। সাবালকত্ব অর্জন করার পরেও যদি সন্তানরা নিজ ভরণ-পোষণ যোগাতে ব্যর্থ হন তবে আইন অনুসারে ঐ সন্তান বাবার কাছে ভরণ-পোষণ দাবি করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে বাবা ভরণ-পোষণ দিতে বাধ্য নন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৬