ঢাকা: জাতীয় সংসদ সদস্যদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি পদে থাকা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার (১৩ এপ্রিল) বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রবিধানমালা ২০০৯ এর ৫ ও ৫০ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী ইউনুচ আলী আকন্দ।
তিনি বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, প্রবিধানমালা ২০০৯ এর ৫ ধারায় মতে, স্থানীয় সংসদ সদস্যরা ৪টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে থাকতে পারবেন। ৫০ ধারা মতে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন না দিয়ে বিশেষ কমিটির মাধ্যমে গঠন সংক্রান্ত। এ দু’টি ধারা সংবিধানের ৭, ২৬, ২৭,২৮,৩১,৬৫ এর সংঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই দু’টি ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
ইউনুচ আলী আরও বলেন, ‘একজন মন্ত্রী বা এমপির দায়িত্ব হলো সংসদে গিয়ে আইন তৈরি করবেন। কিন্তু তারা অর্থ বাণিজ্যের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন। যা সংবিধানের সংঙ্গে সাংঘর্ষিক। ’
বাংলাদেশ সময়:১৪২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩,২০১৬
ইএস/জেডএস