ঢাকা: দলবদলের আগেই অন্য ক্লাব থেকে অগ্রিম অর্থ গ্রহণকারী আট ফুটবলার কোন দলে খেলবেন- তা দুই সপ্তাহের মধ্যে নির্ধারণ করতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আট ফুটবলার হলেন- মামুনুল ইসলাম, শাহেদুল আলম, রায়হান হাসান, ইয়ামিন মুন্না, জামাল ভুইয়া, নাসির, সোহেল রানা এবং আলমগীর কবির রানা।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ বাফুফের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটিকে এ নির্দেশ দেন।
ওই আট ফুটবলার দলবদল শুরুর আগেই অন্য ক্লাব থেকে অবৈধভাবে অগ্রিম টাকা নিয়েছেন। সেই টাকার চেকগুলো জানুয়ারিতে বাফুফের কাছে হস্তান্তরও করেছিলেন শেখ জামালের ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নু। এমনকি আট খেলোয়াড়ের আর্থিক লেনদেন নিয়ে বাফুফের কাছে সম্প্রতি শেখ জামাল কর্তৃপক্ষ নালিশ দিলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি বাফুফে।
এসব অভিযোগ উল্লেখ করে হাইকোর্টে রিট করে শেখ জামাল কর্তৃপক্ষ।
গত ২৮ মার্চ রিট আবেদনটির প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দলবদলের আগেই অন্য ক্লাব থেকে অগ্রিম অর্থ গ্রহণকারী আট ফুটবলারকে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবেই থাকতে হবে বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে রুলও জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে ওই আট খেলোয়াড়কে কেন শেখ জামালে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
চার সপ্তাহের মধ্যে ক্রীড়া সচিব, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ আট ফুটবলারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
গত ৩০ মার্চ হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে বাফুফের করা আবেদনের ওপর কোনো আদেশ দেননি (নো অর্ডার) চেম্বার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
পরে বাফুফে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করলে ০৪ এপ্রিল ওই আট খেলোয়াড়কে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবেই থাকতে হবে বলে হাইকোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। লিভ টু আপিলটির নিষ্পত্তি করে দিয়ে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ৩ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে রুলের নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।
আদালতে বাফুফের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস। শেখ জামালের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। বুধবার রুলের নিষ্পত্তি করে বাফুফেকে ওই খেলোয়াড়দের ক্লাব নির্ধারণে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৬
ইএস/এএসআর