ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শাহাদাতের মামলা

সাক্ষ্য দিতে ৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৬
সাক্ষ্য দিতে ৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

ঢাকা: গৃহকর্মী হ্যাপিকে নির্যাতনের অভিযোগে ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন রাজিব ও তার স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্যের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় সাক্ষ্য দিতে মামলার বাদী সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক, ঢাকার সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্তীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।  

রোববার (২৪ এপ্রিল) মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল।

এ দিন আদালতে কোনো সাক্ষী না আসায় মামলার রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পিপি আলী আসগর স্বপন আদালতে সাক্ষীদের উপস্থিত করার জন্য সময়ের আবেদন জানান। মামলার আসামি ক্রিকেটার শাহাদাত ও তার স্ত্রী নিত্য আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
 
শুনানি শেষে ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তানজীনা ইসমাইল সাক্ষীদের উপস্থিত করতে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে আগামি ২৫ মে সাক্ষ্য দিতে মামলার বাদী সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অজামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা ও  ঢাকার সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল। ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা এ মামলার ভিকটিম হ্যাপির জবানবন্দি গ্রহণ করেছিলেন।
 
গত ২২ ফেব্রুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৪ (২)/ খ ধারায় শাহাদাত ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।

গত বছরের ০৬ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে রাজধানীর কালশী থেকে নির্যাতনে মারাত্মক আহত অবস্থায় ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন রাজিবের বাসার গৃহকর্মী ১১ বছরের শিশু হ্যাপিকে উদ্ধার করে পল্লবী থানা পুলিশ। তবে ওই দিন বিকেলে শাহাদাত মিরপুর থানায় তার বাসার গৃহকর্মী হারিয়েছে বলে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।

রাতে সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে ক্রিকেটার শাহাদাত ও তার স্ত্রী নিত্যকে আসামি করে মিরপুর মডেল থানায় নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন।

ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে শাহাদাত ও নিত্যের বিরুদ্ধে মামলাটির চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শফিক আহমেদ। গত ০৪ ফেব্রুয়ারি চার্জশিট আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।

গত বছরের ০৩ অক্টোবর দিনগত রাতে মালিবাগের পাবনা গলিতে তার বাবার বাড়ি থেকে নিত্যকে গ্রেফতার করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। আদালতের অনুমোদনক্রমে তাকে তিনদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরে ০১ ডিসেম্বর নিত্যকে জামিন দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত।

অন্যদিকে শাহাদাত গত বছরের ০৫ অক্টোবর সকালে ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। এ আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন আদালত। আদালতের নির্দেশে ০৮ অক্টোবর থেকে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। পরে ০৮ ডিসেম্বর শাহাদাতের জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৬
এমআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।