ঢাকা: রিভিউ রায়ের লিখিত আদেশ কারাগারে যাওয়ার পর জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। নিজামীর ফাঁসি কার্যকরে আর কোনো বাধা নেই বলেও জানান তিনি।
নিজামীর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার সব ধরনের আইনি লড়াই শেষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, এখন আর মাত্র এক ধাপ বাকি রয়েছে। আর সেটি হচ্ছে শেষ সুযোগ হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন আসামি।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে নিজামীর মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকার পর এ রায় কার্যকরের দিনক্ষণ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (০৫ মে) সকালে দেওয়া রায়ে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী কিলিং স্কোয়াড আলবদর বাহিনীর সর্বোচ্চ নেতা নিজামীর ফাঁসি বহাল রেখে রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
নিজামীর করা রিভিউ (রায় পুনর্বিবেচনা) আবেদন খারিজ করে এ রায় দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। অন্য তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
সংক্ষিপ্ত রায়ের পর নিজ কার্যালয়ে ব্রিফ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বলেন, সর্বোচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছেন, সেটি লিখিত আকারে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যাবে। রায়টি নিজামীকে পড়ে শুনিয়ে জানতে চাইবেন, তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি-না।
তিনি বলেন, যদি প্রাণভিক্ষা চান, তা রাষ্ট্রপতির ওপর নির্ভর করবে। না চাইলে দণ্ড কার্যকর হবে। সরকার দিনক্ষণ নির্ধারণ করে দণ্ড কার্যকর করবে।
সংক্ষিপ্ত আদেশ চাইবেন কি-না- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, আগেরবার সংক্ষিপ্ত আদেশ চেয়েছিলাম। আদালত তখন পূর্ণাঙ্গ রায় দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। তাই এবার আর সংক্ষিপ্ত আদেশ চাইবো না। তবে সংক্ষিপ্ত বা পূর্ণাঙ্গ- যে আদেশই আদালত দিন- সেটি কারাগারে যাওয়ার পর থেকেই ফাঁসি কার্যকর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৬
ইএস/এএসআর