নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের দুই মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ আগামী ২৪ মে ধার্য করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ মে) সকাল সাড়ে নয়টা থেকে দুপুর পৌনে একটা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে আরও ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষে পরবর্তী এ দিন ধার্য করা হয়।
গ্রেফতারকৃত নূর হোসেনসহ ২৩ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, সোমবার সাত খুনের দুই মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক আহমেদ সিদ্দিকী ও সাইদুজ্জামান শরীফ, সাত খুনের ঘটনার সময় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বে থাকা মনোয়ারা বেগম, ঘটনার পর মরদেহের সুরতহালকারী ও প্রত্যক্ষদর্শী হুমায়ূন কবিরের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৫১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
সাত খুনের ঘটনায় দু’টি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী বিজয় কুমার পাল নিহত অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারের মেয়ে জামাতা ও অপরটির বাদিনী সেলিনা ইসলাম বিউটি নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী।
দু’টি মামলাতেই অভিন্ন সাক্ষী হলেন ১২৭ জন। এ কারণে উভয় মামলার সাক্ষীদের একই সঙ্গে দুই মামলায় জেরা করা হচ্ছে।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তদন্ত শেষে প্রায় এক বছর পর গত বছরের ৮ এপ্রিল নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাত খুনের দু’টি মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৩ জন কারাগারে আটক রয়েছেন। আর চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে এখনো ১২ জন পলাতক রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৬
এএসআর