ঢাকা: কারাগারে আটক বন্দিদের আইনি সেবার মানোন্নয়নে দেশের প্রত্যেকটি জেলার কারাগারগুলোতে চিঠি পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি।
এ চিঠিতে বিনা বিচারে আটক ও অসহায় বন্দিদের সরকারের বিনামূল্যে আইনি সেবার বিষয়ে অবহিত করার কথা বলা হয়েছে।
এদিকে এক বৈঠকে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি প্যানেল আইনজীবীদের ফি বাড়ানোর প্রস্তাব গ্রহণ করে জাতীয় পরিচালনা বোর্ডের কাছে প্রস্তাব পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
১৫ মে রোববার কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের সভাপতিত্বে বৈঠকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মো. সাব্বির ফয়েজ, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট টাইটাস হিলোল রেমা, রুমা সুলতানা, একেএম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে কমিটির গৃহীত প্রস্তাবে আপিল বিভাগে মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ডসহ মামলা পরিচালনাকারী প্যানেল আইনজীবীর জন্য ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য ফি রাখার পাশাপাশি ফৌজদারি, দেওয়ানি ও জেল আপিল মামলায়ও ফি বাড়ানোর প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।
জেল আপিল মামলায় বর্তমানে ৩ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা রাখার প্রস্তাবের পাশাপাশি ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে ৬ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০-১৩ হাজার টাকা ও দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে ৭ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব জাতীয় পরিচালনা বোর্ডে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
অন্যদিকে লিগ্যাল এইড প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আর্থিক আয়ের সীমা বাড়ানোর বিষয়ে বোর্ডের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের কো-অর্ডিনেটর অ্যাডভোকেট রিপন পৌল স্কু বাংলানিউজকে বলেন, ‘কারাগারে আটক বন্দিদের আইনি সেবার মানোন্নয়নে গত ৫ মে দেশের প্রত্যেকটি জেলার কারাগারগুলোতে চিঠি পাঠিয়ে তথ্য বিনিময়ের পাশাপাশি জেল আপিল মামলাগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখার অনুরোধ জানানো হয়েছে’।
দেশের স্বল্প আয়ের ও অসহায় নাগরিকদের আইনি সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২০০০ সালে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন’ করা হয়। এ আইনের অধীনেই প্রতিষ্ঠা করা হয় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা। এ সংস্থার অধীনে সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের ৬৪ জেলায় লিগ্যাল এইড কমিটি বিনামূল্যে আইনি সেবা নিয়ে কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৬
ইএস/এএসআর