ঢাকা: আদালতে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা এবং দুঃখ প্রকাশ করে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে পার পেলেন বিমানবন্দর থানার ওসিসহ দুই পুলিশ।
রোববার (২৯ মে) তাদের দু’জনকে অব্যাহতি দিয়ে আদেশ দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের বেঞ্চ।
পাশাপাশি স্বর্ণ চোরাচালান মামলার আসামি আল-আমিনের জামিন আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।
আদালতে আসামির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খায়রুল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির।
খায়রুল আলম বলেন, ২০১৪ সালের ২২ আগস্ট ৭ কেজি স্বর্ণসহ মো. আল-আমিনকে (২৫) আটক করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করে বিমানবন্দর থানা পুলিশ।
এ মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন না পেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন আল আমিন।
তার আবেদনের শুনানিতে আইনজীবী আদালতকে জানান, বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নিয়ম থাকলেও এখন দেওয়া হয়নি। এ সময় আদালত জামিন বিষয়ে রুল জারির পাশাপাশি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জমানকে তদন্ত প্রতিবেদন কেন দেওয়া হচ্ছে না সে বিষয়টি জানাতে ১০ মে হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেন।
কিন্তু ১০ মে নির্ধারিত দিনেও তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান হাজির না হওয়ায় এবং প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত বিমানবন্দর থানার ওসিসহ পুলিশের এ দুই কর্মকর্তাকে ২৯ মে তলব করেন।
রোববার হাজির হয়ে ওসি ফরমান আলী ও তদন্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান আদালতকে জানান, গ্রেফতারকৃত আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে কয়েকজনের নাম এসেছে। তাদের নাম পেলেও ঠিকানা সংগ্রহ করতে দেরি হওয়ায় চার্জশিট দিতে দেরি হচ্ছে। এজন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করেন।
শেখ একেএম মনিরুজ্জামান কবির বলেন, আদালত দুই পুলিশকে অব্যাহতি দিয়ে দ্রুত চার্জশিট দাখিল করতে নির্দেশ দেন। এবং আসামি আল-আমিনের জামিন খারিজ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৬
ইএস/জেডএস