ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনার ঘটনায় হাইকোর্টে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপার (এসপি)। তারা ওই ঘটনার তদন্ত শেষ করতে আরও দু’মাসের সময়ের আবেদন জানিয়েছেন।
গত ২৯ মে তারা এ ঘটনায় প্রতিবেদন জমা দিলে ০৮ জুনের মধ্যে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে নারায়ণগঞ্জের ডিসি ও এসপিকে নির্দেশ দেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালত ওই প্রতিবেদনে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, নারায়ণগঞ্জের ডিসি, এসপি ও বন্দর থানার ওসি যে প্রতিবেদন দিয়েছেন, তা দায়সারা গোছের। এতে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা সুস্পষ্ট করা হয়নি। এজন্য আগামী ৮ জুনের মধ্যে তাদের ফের প্রতিবেদন দিতে হবে।
আদালত আরও বলেন, দ্বিতীয় দফায় ঠিকমতো প্রতিবেদন না দিলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ০৯ জুন পরবর্তী আদেশের জন্য কার্যতালিকায় আসবে বিষয়টি।
হাইকোর্টের ওই আদেশে বুধবার (০৮ জুন) প্রতিবেদন জমা দেন নারায়ণগঞ্জের ডিসি-এসপি। বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) এসব প্রতিবেদন হাইকোর্টে উত্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন।
গত ১৮ মে শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনার ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানসহ দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা কেন নেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন একই হাইকোর্ট বেঞ্চ।
স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বপ্রণোদিত হয়ে জারি করা এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এছাড়া ওই ঘটনার সময় কি কি আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানিয়ে তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয় পুলিশ সুপারকে।
ওই ঘটনার বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মহসিন রশিদ। এর প্রেক্ষিতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পুলিশের প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। এ প্রতিবেদন নিয়ে শুনানি শেষে ২৯ মে ফের বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে বলেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৬
ইএস/এএসআর