ঢাকা: গত বছরের ০৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে পৃথক অভিযানে ৮ হাজার পিস ইয়াবাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশ।
এ মামলার আসামি নুরুল আলম ও কামাল হোসেন গত ২৬ জুন হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।
বিষয়টি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিবেদন আকারে হাইকোর্টে দাখিল করেন।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) ওই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমান আসামিদের জামিন বাতিল করে তাদের আইনজীবী মাহমুদুর রহমান চৌধুরী ও তার সহকারী এবং তদবিরকারী সালেহা বেগমকে তলব করেন।
আগামী ২৫ জুলাই আদালতে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে ওই তিনজনকে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম এ মান্নান মোহন বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বিষয়টি পরীক্ষা করে অসঙ্গতির কথা হাইকোর্টকে জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে ৮ হাজার ইয়াবা উদ্ধারের কথা রয়েছে। তাই মঙ্গলবার ওই আসামিদের জামিন বাতিল করে আইনজীবীসহ তিনজনকে তলব করেছেন আদালত।
গণমাধ্যমের খবর অনুসারে গত বছরের ০৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে র্যাব ও নগর গোয়েন্দা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে ৮ হাজার পিস ইয়াবা। এসব ঘটনায় আর ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছিলেন ৠাব-পুলিশ সদস্যরা।
আটক তিনজন হলেন- রিয়াজুল ইসলাম (৩০), নুরুল হক (৪০) ও কামাল হোসেন (২৮)।
র্যাব-৭ এর উপ-পরিচালক মেজর জাহাঙ্গীর আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর কোতোয়ালি থানার রিয়াজউদ্দিন বাজারে অভিযান চালিয়ে পাঁচ হাজার ১০ পিস ইয়াবাসহ রিয়াজুল ইসলাম নামের একজনকে আটক করা হয়। তিনি সাতকানিয়া থেকে বিক্রির উদ্দেশ্যে ইয়াবাগুলো রিয়াজউদ্দিন বাজারে এনেছিলেন। এছাড়া নগরীর কর্ণফুলী থানার শাহ আমানত সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় একটি পিক-আপ ভ্যানে তল্লাশি চালিয়ে তিন হাজার পিস ইয়াবাসহ নুরুল হক ও কামাল হোসেন নামের দু’জনকে আটক করা হয়। এ সময় পিক-আক ভ্যানটিও জব্দ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৬
ইএস/এএসআর