রংপুর: চাঞ্চল্যকর জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যা মামলা রংপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে স্পেশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউনিয়া আমলি আদালতের-২ বিচারক আরিফুল ইসলাম মামলাটি রংপুর জেলা ও দায়রা জজ হুমায়ূন কবিরের আদালতে স্থানান্তর করেছিলেন।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে গ্রেফতারকৃত পাঁচ আসামিকে হাজির করা হয়। এরপর বিচারক হুমায়ূন কবির মামলাটি ও আসামিদের স্পেশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হস্তান্তর করেন।
আদালতে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষের ভারপ্রাপ্ত আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ মোহাম্মদ নয়ন নুর রহমান টফি।
গত জুলাই মাসে মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি ও ক্রোকি পরোয়ানা জারি করেছিলেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গত ১০ জুলাই বিপ্লব ও হীরাসহ ১৬ জনকে অব্যাহতি দিয়ে জেএমবির ৮ সদস্যের বিরুদ্ধে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
আসামিদের মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকা পাঁচজন হলেন- জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানা, কমান্ডার খয়বর হোসেন, সদস্য ইছাহাক আলী, আবু সাঈদ লিখন ও সাখাওয়াত হোসেন। তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়।
পলাতকদের মধ্যে ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন সাদ্দাম হোসেন। বাকি দুই আসামি নজরুল ও আহসান আনসারী এখনো পলাতক।
রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বাংলানিউজকে জানান, কুনিও হোশি হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে ডিআইজিকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। দীর্ঘ ১০ মাস তদন্ত শেষে গত ১০ জুলাই ৮ জেএমবি সদস্যকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত বছরের ০৩ অক্টোবর কাউনিয়ার আলুটারী গ্রামে কুনিও হোশিকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৬
এএটি/এএসআর