ঢাকা: বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের মাধ্যমে যে কাজ শুরু হয়েছে তা অনেক দূর এগিয়েছে দাবি করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কাজগুলো চলমান থাকবে।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা মামলার রায়ের নবম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর মাজদার হোসেনের মামলার রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ১৯৭২ সালের সংবিধানেও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা অত্যন্ত স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছিল। সেখানে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স মেইনটেন করা ছিলো সেই সংবিধানে। পরবর্তীতে সামরিক সরকারের আমলে বিচারবিভাগকে পরাধীন করা হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রাথমিক কাজ শুরু করেছিলেন।
তবে বিএনপি-জামায়াতের সময় তা স্থবির হয়ে যায় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতার বিষয়টি অগ্রাধিকার হিসেবে কাজ শুরু করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় কোনো সময় হস্তক্ষেপ করেননি দাবি করে মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা সুদৃঢ় করার জন্য প্রয়োজনীয় যা যা করার তা করা হয়েছে। বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের মাধ্যমে যে কাজ শুরু হয়েছে তা অনেক দূর এগিয়েছে। কাজগুলো চলমান থাকবে।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগের ক্ষেত্রে কোনো বিজ্ঞ বিচারকের কাজে সরকার হস্তক্ষেপ করে না। নির্বাহী বিভাগ বিচার বিভাগের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করলে আদালতের স্বাধীনতা থাকতো না।
‘আমি স্পস্ট করে বলতে চাই, নির্বাহী বিভাগ বা সরকার বিচার বিভাগের বিচারিক বা অন্য কাজে কখনই হস্তক্ষেপ করে না এবং করবে না। কারণ গণতন্ত্রের বিকাশ ও গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে হলে বিচার বিভাগের প্রয়োজন, স্বাধীনতার প্রয়োজন। ’
শেখ হাসিনার সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় শুধু বিশ্বাসী না, বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বদ্ধপরিকর।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৬
এমআইএইচ/এএ