ঢাকা: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে কাজী রিয়াজুল হক কোন কর্তৃত্ব বলে চেয়ারম্যান পদে বহাল আছেন- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (২০ নভেম্বর) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ গত ০৯ নভেম্বর এ রিট আবেদন দায়ের করেন।
রোববার আবেদনের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন।
রিট আবেদনে বলা হয়, কাজী রিয়াজুল হক এর আগে ২০১০ ও ২০১৩ সালে মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ছিলেন। গত ২২ জুন থেকে তিনি কমিশনের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পান। অথচ ২০০৭ সালের মানবাধিকার কমিশন আইনের ২ (এইচ) ও ৬ (৩) ধারা অনুসারে দু’বারের বেশি নিয়োগ হলে তা অবৈধ।
এ পদটিতে আইন বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ দেওয়ার বিধান রয়েছে উল্লেখ করে রিটে বলা হয়, কমিশন আইনের ৬ (২) ধারা অনুসারে চেয়ারম্যান নিয়োগের জন্য প্রার্থীকে বিশিষ্ট আইনজ্ঞ হতে হবে। কিন্তু তিনি আইনজীবী বা বিচার বিভাগীয় পদে ছিলেন না। এ পদটি আধা-বিচার বিভাগীয়। ভারতসহ অন্যান্য দেশে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে ওই পদটি দেওয়া হয়।
গত ০৯ নভেম্বর ইউনুছ আলী আকন্দ বলেছিলেন, ‘মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আপিল বিভাগের বিচারপতির সমতুল্য। অথচ সংবিধান অনুসারে ১০ বছর আইনজীবী অথবা বিচারক থাকা ছাড়া কেউ এ পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন না। এসব যুক্তি দেখিয়ে গত ২৬ অক্টোবর তাকে একটি লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। সে নোটিশের জবাব না পাওয়ায় ধরে নিয়েছি, তার ওই পদে থাকার আইনগত ভিত্তি নেই’।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৬
ইএস/এএসআর