ঢাকা: নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে রাষ্ট্রদ্রোহ ও উস্কানির অভিযোগে করা পৃথক দুই মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
পাসপোর্ট জমা দেওয়ার পর এ দুই মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন দেওয়ার আগ পর্যন্ত জামিনে থাকবেন মান্না।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের নিষ্পত্তি করে সোমবার (২৮ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে মান্নার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
২০১৫ সালে রাজনৈতিক সংকট নিরসনে মান্নার সঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা এবং অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তির টেলিফোনে কথা বলার দু’টি অডিও ক্লিপ প্রকাশ হওয়ার পর ‘নিখোঁজ’ হন।
এর দু’দিন পর (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ মান্নাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
এর মধ্যে সেনা বিদ্রোহে উসকানি দিয়ে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি মামলা হয় মান্নার বিরুদ্ধে। পাশাপাশি গত বছরের ৫ মার্চ সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মাহমুদুর রহমান মান্না এবং বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়।
এরপর উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করেন মান্না। দুই মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষ এ জামিনাদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৬
ইএস/এসএইচ