ঢাকা: ডাকাত ধরতে পারলে মেরে ফেলার আহ্বান জানিয়ে দেওয়া বক্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) টি এম মোজাহিদুল ইসলাম।
হাইকোর্টের তলবে হাজির হয়ে রোববার (০৪ ডিসেম্বর) সকালে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন দাখিল করেছেন তিনি।
গত ২৭ নভেম্বর বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে ওই এসপিকে তলবসহ রুল জারি করেন।
রুলে সংবিধান বহির্ভূতভাবে জনগণকে নিজের হাতে আইন তুলে নিতে এবং কোনো অপরাধীকে বিচার বহির্ভূতভাবে মৃত্যু ঘটাতে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় কেন এসপির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- তা জানতে চান হাইকোর্ট।
সাতদিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ, স্বরাষ্ট্র ও আইন সচিব, আইজিপি, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও এসপিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
একইসঙ্গে আইজিপি ও এসপি মোজাহিদকে আলাদাভাবে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এসপিকে উপস্থিত হয়ে নিজে অথবা আইনজীবীর মাধ্যমে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন হাইকোর্ট।
‘ডাকাত হাতেনাতে পেলে পিষে মেরে ফেলুন’ শিরোনামে গত ২৬ নভেম্বর দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন ওইদিন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশরাফ-উজ-জামান। প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে আদালত এসপিকে তলব ও রুল জারি করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল চত্বরে গত ২৫ নভেম্বরের অনুষ্ঠানে এসপি মোজাহিদুল বলেন, ‘কোনো ডাকাতকে হাতেনাতে ধরতে পারলে তাকে পিষে মেরে ফেলতে হবে’।
তিনি এলাকাবাসীর উদ্দেশে আরও বলেন, ‘যদি ডাকাত হাতেনাতে ধরতে পারেন, এলাকার লোকজনকে মাইকে ডেকে এনে ওকে পিষে মেরে ফেলেন। মাদকের গাড়ি হলে সেটি আগুনে পুড়িয়ে দেবেন। আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি- আপনাদের নামে কোনো মামলা হবে না। এই গ্যারান্টি আমার’।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৬
ইএস/এএসআর