সিলেট: সিলেটে দু’টি জালিয়াতি মামলায় একটিতে রাগিব আলী ও তার ছেলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেট মুখ্য মহানগর আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো এ সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
আদালতের এপিপি মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি মামলায় ১৪ জন সাক্ষী ছিলেন। এরইমধ্যে ১২ জন সাক্ষ্য দেন। বুধবার অপর দু’জনের সাক্ষ্যও নেওয়া হয়।
আদালতের বিচারক মামলার যুক্তিতর্কের জন্য ৩ জানুয়ারি পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন বলেন জানান তিনি।
৪ ডিসেম্বর ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব ইমদাদুল হক ও সিলেটের সাবেক জেলা প্রশাসক এসএম ফয়সল আলমসহ সাতজন সাক্ষ্য দেন।
সাক্ষ্য প্রদানকারী অন্যরা হলেন শাহজাহান পারভীন, শফিকুল ইসলাম, শরফ উদ্দিন, তদন্তকারী অফিসার দেওয়ান আবুল হোসেন, অরিন্দম দত্ত। তবে মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন এখনও ধার্য্য করা হয়নি।
ওইদিন তারাপুর চা বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তি আত্মসাতের মামলায় রাগিব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাইসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা হয়। মামলাটি একই বিচার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেন এপিপি মাহফুজুর রহমান।
১০ আগস্ট তারাপুর চা বাগানের হাজার কোটি টাকার ভূমি আত্মসাৎ ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির দুই মামলায় রাগিব আলী এবং তার ছেলে-মেয়েসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এর পরপরই স্বপরিবারে ভারতে পালিয়ে যান রাগিব আলী। পরে আবদুল হাই সীমান্তে গ্রেফতার হন।
২৪ নভেম্বর ভারতের করিমগঞ্জ পুলিশের হাতে আটক হন রাগীব আলী। পরে ওই দিন দুপুরে বিয়ানীবাজারের সুতারকান্দি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় রাগিব আলীকে। ওই দিন বিকেলে তাকে আদালতে আনা হয়। একইদিন সন্ধ্যায় তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬
এনইউ/এএটি/এসএইচ