ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানে ত্রুটির ঘটনার মামলায় গ্রেফতারকৃত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাত কর্মকর্তার আরও আটদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রিমান্ডে নেওয়া সাতজন হলেন- বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রোডাকশান) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স) এস এ সিদ্দিক এবং প্রকৌশল কর্মকর্তা সামিউল হক, লুৎফুর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস ও জাকির হোসাইন।
প্রথম দফায় সাতদিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) তাদেরকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ফের দশদিন করে রিমান্ডের আবেদন জানান কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক মাহবুব আলম।
শুনানি শেষে সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়ায়েস কুরুনি খান চৌধুরীর আদালত।
আত্মসমর্পণ করা অন্য দুই আসামি বিমানের জুনিয়র টেকনিশিয়ান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও প্রকৌশলী কর্মকর্তা এস এম রোকনুজ্জামানকেও বর্তমানে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গত ২২ ডিসেম্বর মামলাটির সাত আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে দশদিন করে রিমান্ড চায় পুলিশ। প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। অন্য দু’জন একইদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয় তাদেরকে। গত বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) ওই দু’জনেরও দশদিন করে রিমান্ড চাওয়া হলে সাতদিন করে মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে তা তুর্কমেনিস্তানের আশখাবাদে জরুরি অবতরণ করে। সেখানে ত্রুটি সারিয়ে চার ঘণ্টা পর বুদাপেস্টের উদ্দেশ্যে রওনা হয় বিমান।
ওই বিমানের ইঞ্জিন অয়েলের ট্যাংকের একটি নাট ঢিলা হওয়ার পেছনে নাশকতা ছিল কি-না, তা তদন্তে গত ২৮ নভেম্বর পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। ঘটনা তদন্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) আরও দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর গত ২১ ডিসেম্বর ৯ জনকে আসামি করে মামলা ও আসামিদের বরখাস্ত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৬
এমআই/এএসআর