ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মুন সিনেমা হলের মূল্য নির্ধারণে আপিল বিভাগের নির্দেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৭
মুন সিনেমা হলের মূল্য নির্ধারণে আপিল বিভাগের নির্দেশ

ঢাকা: একজন অভিজ্ঞ, নিরপেক্ষ প্রকৌশলী দিয়ে ঢাকার ওয়াইজঘাট এলাকার মুন সিনেমা হলের জমি, স্থাপনার মূল্য নির্ধারণ করে ছয় সপ্তাহের মধ্যে তা আদালতে প্রতিবেদন আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এক আবেদনের ‍শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।
 
ইতালিয়ান মার্বেলস ওয়ার্কস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল আলম ছিলেন মুন সিনেমা হলের মালিক।

মুক্তিযুদ্ধের সময় সম্পত্তিটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।

পরবর্তীতে মালিকানা দাবি করে মাকসুদুল আলম আদালতের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্টে রায় পক্ষে যাওয়ার পর আপিল বিভাগ ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে তা বহাল রাখেন। একইসঙ্গে ৯০ দিনের মধ্যে মুন সিনেমা হল বাংলাদেশ ইতালিয়ান মার্বেলস ওয়ার্কস লিমিটেডকে ফেরত দেওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন।

প্রায় ছয় বছর আগে পঞ্চম সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ে ৯০দিনের মধ্যে পুরান ঢাকার ওয়েজঘাট এলাকার মুন সিনেমা হল মূল মালিককে ফেরতের নির্দেশ দেন। কিন্তু ইতালিয়ান মার্বেলস ওয়ার্কস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুন সিনেমা হলের মালিক মাকসুদুল আলম তার জমি না পেয়ে ২০১২ সালে আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
 
এ আবেদনের শুনানি শেষে আদালত রোববার (১৫ জানুয়ারি) অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রতি নির্দেশ দেন।

পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, পঞ্চম সংশোধনী মামলার রায়ে বলা হয়েছে মুন সিনেমা হল ছেড়ে দেওয়া হোক। পরে সরকারের পক্ষ থেকে আমরা রিভিউ করলাম। তখন আবারও বলা হলো, এ সিনেমা হল ছেড়ে দেওয়া হোক অথবা উভয় পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হোক।
 
তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে মুন সিনেমা হলটি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২০০১ সালে প্রতীকী মূল্য ১ টাকা দরে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট তা হস্তান্তর করে ডেভেলপারদের কাছে। ডেভেলপাররা মূল সিনেমা হলটি ভেঙে বহুতল ভবন নির্মাণ করে এবং ডেভেলপার কোম্পানি তাদের অংশটুকু বর্তমান দোকান মালিকদের কাছে বিক্রি করে দেয়।
 
এ অবস্থায় আমি আদালতের কাছে বলেছি, মুন সিনেমা হল আগের অবস্থায় ফেরত দেওয়ার কোনো উপায় নেই। এখন মুন সিনেমা হলের জমির মূল্য ও মুন সিনেমা হলের মূল স্ট্রাকচারের (কাঠামো) মূল্য ধরে এর মালিক ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন। এজন্য আদালত একটি নির্দেশনা দিয়েছেন।
 
মাহবুবে আলম আরও বলেন, অভিজ্ঞ-নিরপেক্ষ প্রকৌশলী নিয়োগ দেওয়ার বিষেয়ে অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর নাম এসেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৭
ইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।