তিন মুক্তিযোদ্ধার করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ কাউন্সিলের (জামুকা) চেয়ারম্যান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসকসহ ৬ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
পরে ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা ও বয়স নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনের ২ নং ধারায় বলা হয়েছে, ‘মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নতুন অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার বয়স ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তারিখে ন্যূনতম ১৩ বছর হতে হবে’।
তিনি বলেন, এ ধারা বহাল থাকলে যাচাই-বাছাইয়ের সময় একাত্তরের ১৩ বছরের নিচের ব্যক্তিরা মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ পড়ে যাবেন। অথচ ১৯৭১ সালে তাদের বয়স ১৩ না হলেও মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন কাজে তারা সহায়তা করেছেন। তাই ওই ধারাটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গাজীপুরের তিন মুক্তিযোদ্ধা এইচ এম কামরুজ্জামান, মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ কায়সার ও শেখ আজিজুল হক মঙ্গলবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টে রিট করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৭
ইএস/এএসআর