ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

তিন চ্যানেল বন্ধে রিট খারিজের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭
তিন চ্যানেল বন্ধে রিট খারিজের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন

ঢাকা: বাংলাদেশে ভারতীয় তিনটি টিভি চ্যানেল স্টার জলসা, স্টার প্লাস ও জি বাংলার সম্প্রচার বন্ধে করা রিট খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়।

আবেদনকারীর আইনজীবী একলাস উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদালতে এ আবেদনের শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করেন বিবাদীপক্ষ। আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করেন।  

গত ২৯ জানুয়ারি তিন চ্যানেল বন্ধে জারি করা রুলের রায়ে চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বৈধ বলে আদেশ দেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে সম্প্রচার বন্ধের আরজি জানিয়ে করা রিট খারিজ করে দেন।

 

গত ২৫ জানুয়ারি এ রুলের শুনানি শেষে ২৯ জানুয়ারি রায়ের দিন ধার্য করেন।

গত ০৮ জানুয়ারি থেকে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া। স্টার জলসা ও স্টার প্লাসের বাংলাদেশের পরিবেশনকারী প্রতিষ্ঠান ডিজি জাদু ব্রডব্যান্ড লিমিটেডের পক্ষে আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরু এবং জি বাংলার বাংলাদেশের পরিবেশনকারী প্রতিষ্ঠান ন্যাশন ওয়াইড মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সামসুল হাসান।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

২০১৪ সালের জুলাই মাসে রোজার ঈদকে সামনে রেখে স্টার জলসার ‘বোঝে না সে বোঝে না’ সিরিয়ালের পাখি চরিত্রের নামে পোশাক কিনতে না পেরে বাংলাদেশে অনেকে আত্মহত্যা করেন। এ নিয়ে পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এ বিষয়ে ওই বছরের আগস্ট মাসে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন আইনজীবী সৈয়দা শাহীন আরা লাইলী।

তখন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ উত্থাপিত হয়নি মর্মে আবেদনটি খারিজ করে দেন।

এরপর আবার নতুন করে রিট আবেদন করা হয়। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে একই সালের ১৯ অক্টোবর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে বাংলাদেশে ভারতীয় তিনটি টিভি চ্যানেলের (স্টার জলসা, স্টার প্লাস ও জি বাংলা) সম্প্রচার বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চান হাইকোর্ট।

২০১৪ সালে আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেছিলেন, ‘ভারতে বাংলাদেশের কোনো টিভি চ্যানেল প্রচার হয় না। অথচ বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের অবাধ সম্প্রচারের ফলে যুব সমাজ ধ্বংসের সম্মুখীন। সর্বশেষ তাদের একটি টিভি চ্যানেল স্টার জলসার ‘বোঝে না সে বোঝে না’ সিরিয়ালের পাখি চরিত্রের নামে পোশাক কিনতে না পেরে বাংলাদেশে অনেকে আত্মহত্যা করেছেন’।

তিনি বলেন, ‘একটি দৈনিকে এ নিয়ে ‘পাখি প্রেমে প্রাণ বিসর্জন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দেশের ঘরে-ঘরে বাড়ছে ভারতীয় ধারাবাহিক নাটকের জনপ্রিয়তা। এসব সিরিয়াল প্রীতির কারণে দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো ক্রমেই দর্শক হারাচ্ছে, দেশ হারাচ্ছে নিজস্ব সংস্কৃতি। কিশোরী-তরুণীদের ফ্যাশনেও এর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে’।

সর্বশেষ ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল স্টার জলসার ‘বোঝে না সে বোঝে না’ সিরিয়ালের ‘পাখি’র প্রেমে প্রাণ যায় এক যুবক ও শিশুর’।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।