ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বাংলাদেশে সেলফোন টাওয়ারের রেডিয়েশন ‘উচ্চমাত্রার’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৮ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৭
বাংলাদেশে সেলফোন টাওয়ারের রেডিয়েশন ‘উচ্চমাত্রার’

ঢাকা: বাংলাদেশে সেলফোন কোম্পানির টাওয়ার থেকে নিঃসৃত রেডিয়েশনের (তেজস্ক্রিয়তা) মাত্রা উচ্চ পর্যায়ের, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা এ প্রতিবেদনের কথা হাইকোর্টকে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষ।

এদিকে স্বাস্থ্যের ক্ষতির বিষয়টি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে নির্ণয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেছেন রিটকারী পক্ষ।

তবে বুধবার (২২ মার্চ) সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে বিটিআরসি’র পদক্ষেপ জানতে চেয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ২৮ মার্চ (মঙ্গলবার) দিন ধার্য করেছেন।

এছাড়াও সাতদিনের মধ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটি করতে স্বাস্থ্য সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ কমিটিতে বিজ্ঞানী, সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অধ্যাপক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং আণবিক শক্তি কমিশনের প্রতিনিধিরা থাকবেন। কমিটিকে মোবাইল টাওয়ার থেকে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও পরিবেশগত প্রভাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত মোবাইল কোম্পানির টাওয়ারগুলো থেকে নিঃসৃত রেডিয়েশন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না- রুলে তাও জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।

এরপর স্বাস্থ্য কমিটির মাধ্যমে নিরীক্ষা করে স্বাস্থ্যের ক্ষতির বিষয়টি প্রতিবেদনে উল্লেখ করে বিটিআরসিকে বলেছেন, রেডিয়েশনের মাত্রা কমাতে।   এ প্রতিবেদনটি ২৮ মার্চের মধ্যে হলফনামা আকারে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
 
এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বিটিআরসি কী পদক্ষেপ নিয়েছেন, সেটিও আদালতকে জানাতে হবে।

সেলফোন টাওয়ারের রেডিয়েশন নিঃসরণ নিয়ে ২০১২ সালে হাইকোর্টে রিট করে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ।  
 
ওই সময় রেডিয়েশনের মাত্রা এবং এর স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত প্রভাব খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির কয়েকটি মোবাইল ফোন টাওয়ার পরিদর্শন করে রেডিয়েশনের বিষয়ে প্রতিবেদনও দিতে বলেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। বিটিআরসি’র পক্ষে ছিলেন খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

পরে মনজিল মোরসেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে বলেছেন- স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সেলফোনের টাওয়ারে রেডিয়েশনের মাত্রা অনেক বেশি অর্থাৎ উচ্চমাত্রার। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তারা এটি বিটিআরসিকে জানিয়েছেন, যেন রেডিয়েশনের মাত্রা কমাতে ব্যবস্থা নেয়। এরপর আদালত প্রতিবেদনটি হলফনামা আকারে দাখিল করতে বলেছেন এবং বিটিআরসি’র পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন। এ বিষয়ে আদেশের দিন আগামী ২৮ মার্চ ধার্য করেছেন হাইকোর্ট’।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।