ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বুলবুল-গউছের বরখাস্তাদেশ স্থগিত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৭
বুলবুল-গউছের বরখাস্তাদেশ স্থগিত মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল-জি কে গউছ

ঢাকা: রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

দুই মেয়রের পৃথক রিট আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) এ স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষে শুনানি করেন আমিনুল হক হেলাল।

জি কে গউছের পক্ষে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন।

এ নিয়ে গত রোববার (০২ এপ্রিল) বরখাস্ত করা তিন মেয়রেরই বরখাস্তের আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত হয়ে গেলো।  

এর আগে সোমবার ( ০৩ এপ্রিল) দায়িত্ব নেওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যেই ফের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেন একই হাইকোর্ট বেঞ্চ। পাশাপাশি তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে তিনদিনের রুল জারি করেন। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ০৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

রোববার পৃথক আদেশে তিন মেয়রকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ।

এর মধ্যে দায়িত্ব নেওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ফের সাময়িক বরখাস্ত হন রাসিকের মেয়র বুলবুল। দুপুর তিনটার পর তিনি সিটি করপোরেশনে নিজের কক্ষে বসতে না বসতেই ফ্যাক্সযোগে বরখাস্তের আদেশ আসে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, ‘মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের বিরুদ্ধে মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১, রাজশাহীর মামলা নং- ১৩৬/১৫ (বোয়ালিয়া থানার মামলা নং-১৭, ৮ ফেব্রুয়ারি-২০১৫) অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। সেহেতু স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ (২০০৯ সালের ৬০নং আইন) এর ১২ এর উপধারা (১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো’।

অন্যদিকে বিকেলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে জি কে গউছের বরখাস্তের আদেশের কপি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে পৌঁছে।

সুনামগঞ্জে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বোমা হামলা মামলার অভিযোগপত্র আদালত গ্রহণ করায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

হবিগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক উপ-সচিব মো. সফিউল আলম বাংলানিউজকে জানান, সুনামগঞ্জের একটি মামলার অভিযোগপত্র আদালত গ্রহণ করায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় ২০১৪ সালে দেওয়া সর্বশেষ সম্পূরক অভিযোগপত্রে মেয়র জি কে গউছকে আসামি করা হয়েছে। একই বছরের ২৮ ডিসেম্বর তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সম্প্রতি তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান।

এরপর গত ২৩ মার্চ মেয়র হিসেবে হবিগঞ্জ পৌরসভার দায়িত্ব নেন।

এদিকে প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বোমা হামলা মামলারও আসামি তিনি।

এছাড়া

সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এনামুল হাবিব রোববার দুপুরে বাংলানিউজকে জানান, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিটি করপোরেশন অ্যাক্ট উপ-সচিব মো. মাহমুদুল আলম বরখাস্তের ফ্যাক্স বার্তা পাঠিয়েছেন। ওই বার্তায় বলা হয়েছে, ‘আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল মামলা- ৪/২০০৯ এর সম্পূরক অভিযোগপত্র গত ২২ মার্চ আদালতে গৃহীত হয়েছে। সেহেতু সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে স্থানীয় সরকার বিভাগ আইন ২০০৯ এর ১২ উপধারা প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো’।

প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত হত্যাচেষ্টার মামলার চার্জশিটে নাম থাকায় আরিফকে আবারও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। দীর্ঘ ২৭ মাস পর রোববারই সিসিকের মেয়রের চেয়ারে ফেরেন তিনিও।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।