ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

হাইকোর্টে বিডিআর মামলার রায় যে কোনো দিন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৭
হাইকোর্টে বিডিআর মামলার রায় যে কোনো দিন

ঢাকা: ২০০৯ সালে রাজধানীর পিলখানায় বাংলাদেশ রাইফেলস- বিডিআর (বিজিবি) সদরদপ্তরে হত্যাযজ্ঞের মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে যে কোনো দিন রায় ঘোষণা (সিএভি) করবেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ (বৃহত্তর) বেঞ্চে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন-বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।


 
২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি থেকে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ (বৃহত্তর) বেঞ্চে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হয়।
 
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার বিডিআর সদরদপ্তরে সংঘটিত ৫৭ জন সেনা সদস্যসহ ৭৪ জনকে হত্যার দায়ে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ১৫২ জন বিডিআর সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন বিচারিক আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে খালাসপ্রাপ্ত ২৭৭ জনের মধ্যে ৬৯ জন আসামির সাজা চেয়ে ফৌজদারি আপিল ও ডেথ রেফারেন্স দায়ের করেন রাষ্ট্রপক্ষ। অন্যদিকে দণ্ডপ্রাপ্ত ৪১০ জন আসামির সাজা বাতিল চেয়ে রায়ের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আপিল দায়ের করেন তাদের আইনজীবীরা।
 
দ্রুত আপিল শুনানি করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ ব্যবস্থায় সর্বমোট ৩৭ হাজার পৃষ্ঠার পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়েছে। এজন্য মোট ১২ লাখ ৯৫ হাজার পৃষ্ঠার ৩৫ কপি ও অতিরিক্ত ২ কপি পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়।
 
২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি সকল ডেথ রেফারেন্স ও ফৌজদারি আপিলের শুনানির জন্য হাইকোর্ট বিভাগের বিশেষ বেঞ্চটি গঠন করেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন। পরদিন ৫ জানুয়ারি বসে ১৮ জানুয়ারি শুনানি শুরুর দিন ধার্য করে দেন বিশেষ বেঞ্চ।
 
এ মামলায় শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরওয়ার কাজল শুনানি করছেন।
 
আসামিপক্ষে রয়েছেন- অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, এসএম শাহজাহান, এএসএম আবদুল মুবিন, মো. আমিনুল ইসলাম, দাউদুর রহমান মিনা, শামীম সরদার প্রমুখ।
 
পরে আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ২০১৫ সালে এ মামলার আপিল শুনানি শুরু হয়ে আজ পর্যন্ত ৩৭০ কার্য দিবস শুনানি শেষ হয়েছে। শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রেখে দিয়েছেন।

এ মামলায় যাদের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে তাদের সাজা বাড়ানোসহ রাষ্ট্রপক্ষ তিনটি আবেদন করেছিল। আদালত ওই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষের ওই আবেদন বিলম্বে করা হয়েছে উল্লেখ করে আদালত ওই আবেদন নাকচ করে দেন। দেরিতে আবেদন করার যে যুক্তি তারা দেখিয়েছেন তা গ্রহণযোগ্য নয় বলেও আদালত বলেছেন।  

তিনি বলেন, এ মামলায় দীর্ঘ শুনানিতে আমাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছি। আমার বিশ্বাস আমরা ন্যায়বিচার পাবো। এ মামলায় তিনি অধিকাংশ আসামির পক্ষে ‍শুনানি করেছেন বলেও জানান।  

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, পিলখানায় যে বিডিআর হত্যাকাণ্ড হয়েছিল, সেই মামলার শুনানি আজ শেষ হয়েছে। কিছু আসামি আছে যাদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত ছিল কিন্তু হয়নি। কিছু আসামি আছে যারা খালাস পেয়েছেন তাদের সাজা বৃদ্ধি চেয়ে আমরা তিনটি দরখাস্ত করেছিলাম। কিন্তু দরখাস্ত দেরিতে দেওয়া হয়েছে বলে আদালত সেগুলো নাকচ করে দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৭
ইএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।