ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

স্কুল না সরানোয় ম্যাপললিফের অধ্যক্ষকে তলব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৫ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৭
স্কুল না সরানোয় ম্যাপললিফের অধ্যক্ষকে তলব

ঢাকা: আদালতের আদেশের পরও ধানমণ্ডির আবাসিক এলাকা থেকে ম্যাপললিফ স্কুল না সরানোয় অধ্যক্ষকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

আগামী ০৪ জুলাই হাজির হয়ে তাকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।  

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকার বৈশিষ্ট্য রক্ষার নির্দেশনা চেয়ে সেখানকার দুই বাসিন্দা এম এ মাসুদ এবং এম এ মতিন ২০১১ সালে রিট আবেদন করেন। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ০২ ফেব্রুয়ারি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকায় নতুন স্কুল, কলেজ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও অনুমোদনের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১২ সালের ১১ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে তিন বছরের মধ্যে ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকা থেকে অননুমোদিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেন। তবে ইতিপূর্বে বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে ঘোষণা করায় ধানমণ্ডি-২ ও ২৭ নম্বর সড়ক, সাত মসজিদ এবং মিরপুর সড়কের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।

হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ম্যাপললিফ ইন্টারন্যাশনাল। গত বছরের ০১ আগস্ট সে আবেদন খারিজ হয়ে যায়।

আজ পর্যন্ত আদালতের রায় কার্যকর না হওয়ায় আদালত অবমাননার আবেদন করে আইনজীবী আসাদুজ্জামান  সিদ্দিকী।

এ আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (৩১ মে) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ ০৪ জুলাই হাজির হতে ম্যাপললিফের অধ্যক্ষকে তলব করেন। পাশাপাশি  রুলও জারি করেন। রুলে আদালত অবমাননার দায়ে কেন তাকে অভিযুক্ত করা হবে না- তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।  

হাইকোর্টের রায়ের পর মনজিল মোরসেদ বলেছিলেন, ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকা থেকে সব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিতে রাজউকের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ধানমণ্ডি এলাকায় ম্যাপললিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ১১টি শাখা রয়েছে। তিন বছরের মধ্যে স্কুলের শাখাগুলোকে একত্রিত করে অন্যত্র সুবিধাজনক জায়গায় সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। শাখাগুলো স্থানান্তর না করা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষকে নিজস্ব লোকবলের মাধ্যমে যানজট নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকায় ভবিষ্যতে সিটি করপোরেশন বা রাজউককে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন না দিতেও বলা হয়েছে।

আপিল বিভাগের রায়ের পর মনজিল মোরসেদ বলেন, ২০১৫ সালে তিন বছর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এখন যেহেতু আপিল বিভাগে আবেদন খারিজ হয়ে গেছে, তাই যতো দ্রুত সম্ভব আবাসিক এলাকার বাণিজ্যিক স্থাপনা সরিয়ে নিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।