ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ষোড়শ সংশোধনীর আপিলের রায় যে কোনো দিন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৭ ঘণ্টা, জুন ১, ২০১৭
ষোড়শ সংশোধনীর আপিলের রায় যে কোনো দিন

ঢাকা: বিচারকদের অপসারণে সংসদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল শুনানি শেষ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০১ জুন) শুনানি শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রেখেছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ।
 
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
 
রিট আবেদনকারী আইনজীবীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
 
২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়।
 
সংবিধানের এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নয় আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ০৯ নভেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
 
এ রুলের শুনানি শেষে গত বছরের ৫ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ।
 
এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেন।
 
গত ০৮ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত আপিল শুনানির ৬ কার্যদিবসে যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপন করেন আপিল আবেদনের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা এবং রিট আবেদনের পক্ষে মনজিল মোরসেদ। শুরুতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় পড়ে শোনান মুরাদ রেজা।
 
এরপর বৃহস্পতিবার আপিলকারী পক্ষ এবং বিবাদী পক্ষ উভয়ে যুক্তিতর্কের জবাব দেন।
 
এর মধ্যে ১০ জন অ্যামিকাস কিউরি এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু তার মতামত উপস্থাপন করেন।
 
১০ অ্যামিকাস কিউরি চার কার্যদিবস তাদের মতামত উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে নয়জন বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের (বিচারকদের হাতে) কাছে রাখার পক্ষে মত দেন। অর্থাৎ ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পক্ষে।
 
বাকী একজন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন সিউসি ষোড়শ সংশোধনীকে বৈধ বলে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে রাখার পক্ষে মত দেন।
 
নয় অ্যামিকাস কিউরি হলেন, টি এইচ খান, ড. কামাল হোসেন, আবদুল ওয়াদুদ ভূইয়া, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল-ইসলাম, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, এ জে মোহাম্মদ আলী, এএফ হাসান আরিফ, এম আই ফারুকী ও ফিদা এম কামাল।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৭
ইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।