ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

হবিগঞ্জের গোলাপকে সেফহোমে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১১ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৭
হবিগঞ্জের গোলাপকে সেফহোমে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি আবুল খায়ের গোলাপ

ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতারকৃত হবিগঞ্জের সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা আবুল খায়ের গোলাপকে আগামী ১২ জুলাই সেফহোমে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার (২০ জুন) রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে ২ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ২২ আগস্ট গোলাপের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন বা অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেন।

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন।

মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত বছরের ২৩ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন গজনাইপুর ইউনিয়নের লোগাঁও গ্রামের রইছ উল্লার মেয়ে বীরাঙ্গনা সুকুরী বিবি (৬৫)।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭১ সালের ১২ নভেম্বর বিকেলে গোলাপের পরিকল্পনা ও পরামর্শে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সুকুরী বিবির বাড়িতে হানা দেয়। ওই সময় সুকুরী বিবি পালাতে চাইলে গোলাপ তাকে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে ধরিয়ে দেন। পরে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে গোলাপও তাকে ধর্ষণ করেন।

এছাড়া, ১৯৭১ সালে স্থানীয় মেয়েদের পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে তুলে দেওয়া, অন্তত ২০টি হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, লুটপাটসহ নানা মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গোলাপের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ১৯ অক্টোবর অন্য একটি মামলা করেন গেদু মিয়া। তদন্ত চলাকালে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর কান্দিগাঁও মহাসড়ক সংলগ্ন রাস্তার পাশে গাড়িচাপা দিয়ে গেদু মিয়াকে হত্যার অভিযোগ ওঠে।

পরে বাবা হত্যার অভিযোগে গেদু মিয়ার ছেলে রাজু আহমেদ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন।
এরপর ২০১৫ সালের ১৭ জুলাই গজনাইপুর ইউপির তৎকালীন চেয়ারম্যান গোলাপের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে একই উপজেলার নিশাকুড়ি গ্রামের আছকির উল্লার ছেলে মো. মানিক মিয়া বাদী হয়ে অন্য একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগ তদন্ত করে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। হবিগঞ্জ পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোক্তাদির হোসেন দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি গোলাপের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গোলাপ মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। পরে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত দল এলাকায় এসে তদন্ত করেন।

সর্বশেষ ট্রাইব্যুনাল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে গত ১১ এপ্রিল তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৭
ইএস/এএসআর

** নবীগঞ্জে যুদ্ধাপরাধ মামলায় গোলাপের বিরুদ্ধে তদন্ত

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।