ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ওসমান ফারুকের বিরুদ্ধে তদন্ত, মুসার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৭
ওসমান ফারুকের বিরুদ্ধে তদন্ত, মুসার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ড. ওসমান ফারুক-মুসা বিন শমসের

ঢাকা: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুকের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তদন্ত চলছে। অনুসন্ধান চলছে কথিত ধনকুবের মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধেও।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য দেন সংস্থার জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক সানাউল হক।

সানাউল হক বলেন, ‘ওসমান ফারুকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা আছে, তদন্ত চলছে।

আর মুসা বিন শমসেরের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। কোনো অগ্রগতি পাওয়া গেলে জানানো হবে’।

সংবাদ সম্মেলনে মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় যশোর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন  তদন্ত সংস্থা।

গত বছরের ০৪ মে অন্য এক সংবাদ সম্মেলনে ড. ওসমান ফারুকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছিলেন তদন্ত সংস্থা। ওইদিন জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক সানাউল হক জানান, তাদের বিরুদ্ধে পাওয়া এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে মামলা করা হবে।

সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খানও জানিয়েছিলেন, ওসমান ফারুক স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন, এর পক্ষে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে।

ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার দাবি, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ওসমান ফারুকসহ ১১ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহায়তা করে স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশ নেন। সেখানে একটি টর্চার সেলও ছিল। ওই তালিকা অনুসারে তদন্ত করা হচ্ছে।

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন উপাচার্য ওসমান গণির ছেলে ড. ওসমান ফারুক মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিকালচার ইকোনমি অনুষদের রিডার ছিলেন। অন্য ১০ জনও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা কর্মকর্তা ছিলেন।

বিদেশে অবস্থানরত ওসমান ফারুকের ভাই যুদ্ধাপরাধে ফাঁসি হয়ে যাওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের সাকা চৌধুরীর পক্ষে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে চিঠি পাঠিয়েছিলেন বলেও সে সময় জানান তদন্ত সংস্থা।

তবে ওসমান ফারুক সে সময় সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি ১৯৭১ সালে দেশে ছিলেন। ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ভিত্তি নেই বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।
 
ড. ওসমান ফারুক বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।