ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

এমবিবিএসে নম্বর কাটা নিয়ে রিটের আদেশ মঙ্গলবার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭
এমবিবিএসে নম্বর কাটা নিয়ে রিটের আদেশ মঙ্গলবার

ঢাকা: নতুন শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস/বিডিএস  ভর্তি পরীক্ষায় আগের বছরের এইচএসসি উত্তীর্ণদের প্রাপ্ত মোট নম্বর থেকে পাঁচ নম্বর কেটে মেধা তালিকা তৈরির সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটের শুনানি শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) আদেশের দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শশাঙ্ক শেখর সরকার।

রিট আবেদনের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ নিজেই শুনানি করেন।

পরে ইউনুছ আলী বলেন, ‘আবেদনের পক্ষে শুনানি শেষ করেছি। এরপর আদালত আদেশের জন্য মঙ্গলবার দিন রেখেছেন’। তবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ মামলায় শুনানি করতে পারেন। হয়তো মঙ্গলবার আদেশের আগে তিনি শুনানি করবেন’।

গত ২৭ আগস্ট রিট দায়েরের পর ইউনুছ আলী বলেছিলেন, ‘পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি, এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তির ৬নং অনুচ্ছেদ অনুসারে দ্বিতীয়বারের পরীক্ষার্থীদের ৫ নম্বর কাটা হবে, অন্যদের কাটা হবে না। এটি সমতার লঙ্ঘন। এ সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক’।

‘গত ২১ আগস্টের পত্রিকায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওই বিজ্ঞপ্তির ৬ নম্বর কলামে বলা হয়, ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি উত্তীর্ণদের পরীক্ষার্থীদের সর্বমোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর কর্তন করে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে’।

ইউনুছ আলী বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর চিকিৎসাসেবা ও স্বাস্থ্য কৌশল চ্যাপ্টারের এক নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে, ‘মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া অব্যাহত থাকবে। ভর্তি পরীক্ষায় কোনো প্রার্থী দুই বছরের জন্য অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন’।

‘সুতরাং, এ সিদ্ধান্ত শিক্ষানীতির পরিপন্থী। এ কারণে দ্বিতীয়বার এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার্থীদের মেধা তালিকা থেকে ৫ নম্বর কেটে নেওয়া কেন অবৈধ নয়- এ মর্মে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে’।

রিটে বিবাদী করা হয়েছে স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন), মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।