ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মায়ের কোলে ফিরলো হুমায়সা, হেরে গেলেন পালক মা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৭
মায়ের কোলে ফিরলো হুমায়সা, হেরে গেলেন পালক মা

ঢাকা: জন্মের পর রাস্তায় ফেলে দেওয়া আড়াই মাসের শিশু হুমায়সা ফিরে পেলো মায়ের কোল। একদিন বয়স থেকে মাতৃস্নেহে লালন করা পালক মায়ের কাছ থেকে শিশুটিকে তার প্রকৃত মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) ঢাকার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান হুমায়সাকে পালক মায়ের কাছ থেকে প্রকৃত মা বৃষ্টি আক্তারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন।

উভয় পরিবারের লোকজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

শিশুটিকে প্রতি তিনমাস পর পর হাজির করারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গত ১৬ জুলাই সকালে বাসায় ফেরার পথে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার আব্দুল্লাহপুর মাছের আড়তের কাছে শিশুটিকে কুড়িয়ে পান বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী শাকিল। হলুদ শপিং ব্যাগের ভেতরে কান্নার আওয়াজ পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেন তিনি। এরপর প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে তাকে বাসায় নিয়ে যান।

শিশুটির মায়ের সন্ধান না পেয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় জিডি করেন শাকিল। শাকিলের স্ত্রী মাতৃস্নেহে তাকে লালন-পালন করছিলেন। ওই দম্পতির কাছেই বেড়ে উঠছিল সে। তারাই শিশুটির নাম রাখেন হুমায়সা।

গত ২৮ আগস্ট বৃষ্টি আক্তার শিশুটিকে নিজের মেয়ে দাবি করে আদালতে আবেদন জানান। শিশুটির বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে প্রবেশন অফিসারকে নির্দেশ দেন আদালত। গত ২৪ সেপ্টেম্বর প্রবেশন অফিসার সুমন মধু বৃষ্টিকে প্রকৃত মা উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদন দাখিলের পর শিশুটিকে আদালতে হাজির করতে শাকিল দম্পতিকে নির্দেশ দেন আদালত। বৃহস্পতিবার তারা শিশুটিকে নিয়ে আদালতে হাজির হন।

মাতৃস্নেহে লালন করা শিশুটিকে দিতে নারাজ ছিলেন শাকিলের স্ত্রী। তিনি আদালতে বলেন, ‘বৃষ্টিতো বাচ্চাটিকে ফেলেই দিয়েছিলেন। আমরা তাকে আদর-যত্নে বড় করেছি। বৃষ্টি নয়, আমিই এখন শিশুটির মা’।

আদালত এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে বৃষ্টি বলেন, ‘আমি ফেলে দেইনি। আমার স্বামী সাগর ওকে ফেলে দিয়েছিলেন’।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৭
এমআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।