ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

চার সপ্তাহে সাভার ট্যানারি পল্লির কাজ শেষ করার নির্দেশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
চার সপ্তাহে সাভার ট্যানারি পল্লির কাজ শেষ করার নির্দেশ সাভারে ট্যানারি পল্লি; ফাইল ফটো

ঢাকা: চার সপ্তাহের মধ্যে সাভারের ট্যানারি পল্লিতে অবকাঠামোগত নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে হবে।পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো.সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) এ আদেশ দেন।

এর পাশাপাশি সাভারে ট্যানারির বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) ৪ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ঘণ্টায় ঘণ্টায় মনিটরিং করে ১২ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালতে ‘বেলা’র আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

আর শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রইস উদ্দিন।

পরে রিজওয়ানা হাসান বলেন, হাজারীবাগের মতো দূষণ যেন সাভারের ট্যানারি পল্লিতে না হয়, সেজন্যই বারবার আদালতে আসা। আদালত এ বিষয়ে আজ আদেশে বলেছেন, সিইটিপি ৪ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ঘণ্টায় ঘণ্টায় মনিটর করতে হবে এবং ১২ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে হবে। এছাড়া তরল বর্জ্যের সঙ্গে যেন কঠিন বর্জ্য না মেশে তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি কারখানার পাইপে বাধ্যতামূলকভাবে বায়োস্ক্রিন লাগাতে হবে।

আর রইস উদ্দিন বলেন, আজ আদালতে শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিসিকের পক্ষে কিছু প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। আদালত পরিবেশসম্মতভাবে কাজ চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন। বর্জ্য পরিশোধন করতে প্রাথমিকভাবে প্রত্যেক ফ্যাক্টরিতে বার বসাতে হবে। অবকাঠামো স্থাপনের অসম্পন্ন কাজ চার সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। এছাড়া বর্জ্য শোধনাগারের মনিটরিং প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে হবে।

এর আগে গত জুলাই মাসে ধলেশ্বরী নদীর দূষণ ঠেকাতে সাভারের ট্যানারি পল্লির বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থার বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।

আবেদনে সাভারের ট্যানারি পল্লির পরিবেশ দূষণ (ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক দূষণ) নিয়ন্ত্রণকারী রিকোভারি ইউনিট, লবণাক্ততাজনিত দূষণ প্রতিরোধক এবং কঠিন বর্জ্য পরিশোধক অবকাঠামো স্থাপনের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাওয়া হয়।

এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০১ সালে ট্যানারি শিল্প হাজারীবাগ থেকে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

দীর্ঘদিন ধরে ওই আদেশ বাস্তবায়িত না হওয়ায় অন্য এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ২৩ জুন হাইকোর্ট ২০১০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্প অন্যত্র সরিয়ে নিতে ফের নির্দেশ দেন।

সরকারপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরে ওই সময়সীমা কয়েক দফা বাড়িয়ে ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়।

কিন্তু বেঁধে দেওয়া সর্বশেষ সময়সীমার মধ্যেও ট্যানারি স্থানান্তর না হওয়ায় পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’র পক্ষ থেকে আদালত অবমাননার মামলা করেন মনজিল মোরসেদ।

এরপর কয়েক দফা আদেশ শেষে ঈদুল আজহার আগ মুহূর্তে আদালতের এক আদেশে সব ট্যানারির ইউটিলিটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭ 
ইএস/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।